দেশব্যাপী করোনার বুস্টার ডোজ শুরু
শুরু হয়েছে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। ১৯শে ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। বুস্টর ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর, তাদের আটদিন পর্যবেক্ষণে রেখে ২৮শে ডিসেম্বর সোমবার দেশব্যাপী এই কার্যক্রম চালুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রমও চলবে।
তবে বুস্টার ডোজের জন্য আলাদা করে নিবন্ধন করতে হবে না। ২য় ডোজ টিকা নেয়ার ছয় মাস পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুস্টার ডোজ টিকা নেয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ষাটোর্দ্ধ ব্যক্তি ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সেদিন (১৯শে ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) করোনার বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
দেশে প্রথম করোনা টিকা নিয়েছিলেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। বুস্টার ডোজও তিনিই প্রথম নেন।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বুস্টার ডোজ নেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে।
তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।
কেএফ/