মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সারাবিশ্বে আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে। মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়, তবে অতীতে এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুরোতে এন্ড্রেমিক হিসেবে ধরা হয়। পূর্বে শুধুমাত্র পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণকারীদের না বাসিন্দাদের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই দেশগুলোতে ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব রোগীদের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন, অথবা এমন কোনো ব্যক্তি বা লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহজনক মাঙ্কিপিক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এমন রোগীদের মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর-এ তথ্য পাঠাতে হবে।
এমতাবস্থায় মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে দেখা যায়। সর্বপ্রথম বানরের দেহে শনাক্ত হওয়া এ রোগটি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এর আগে আফ্রিকার বাইরে দেখা যায়নি। ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রলিয়া এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে রবিবার (২২ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নতুন কোনো রোগের তথ্য পাওয়া গেলে আমাদের বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা একটা রুটিন ওয়ার্ক। সে হিসেবে আমরা সবগুলো বন্দরকে সতর্কতা নেওয়ার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
এপি/আরএ/