সরকারি হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট কেন, প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রতিটি হাসপাতালেই এক্সরে মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত থাকার কথা। অথচ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করানো হয়। এতে সরকারি অর্থে কেনা মেশিনগুলো অকেজো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া সেবা না পেয়ে অন্যত্র বেশি অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হয়। এটি আর চলতে দেওয়া যাবে না। দ্রুতই হাসপাতালগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেন্ট্রালি নজরদারিতে রেখে জনগণের সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) মন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের জেলা, উপজেলাসহ সরকারি হাসপাতালগুলোকে সেন্ট্রালি সুপারভিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ক্রমান্বয়ে সব হাসপাতাল ডিজিটালাইজড হবে। কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটেগরিত ৪৭টি পুরস্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে সেরা ১০টি উপজেলা হাসপাতাল, সেরা ৫টি জেলা হাসপাতাল, সেরা ৩টি মেডিকেল কলেজ, সেরা ২টি বিশেষায়িত পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সেরা ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
টিকা সম্পর্কে এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, করোনা মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ১ম ডোজ ১৩ কোটি, ২য় ডোজ ১১ কোটিসহ লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনও হাতে ৫ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে এবং পাইপলাইনে আরো ৬ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। এখন দেশের অবশিষ্ট মানুষগুলো ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে দেশ আরও বেশি উপকৃত হবে। এসব কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরো ৩ দিনের জন্য বর্ধিত করা হল। এখন থেকে গণটিকা কার্যক্রম ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আগের নিয়মে চলমান থাকবে।
নিটোর হাসপাতালে ৫০০ বেড, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৫০০ বেড, এনআইসিবিডি-তে প্রায় ৮০০টি নতুন বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ, ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজগুলো স্বাস্থ্যখাতকে আরও গতিশীল করবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. আবদুল আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারডন জাং রানা এইচএসএস কোর কমিটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এপি/এমএমএ/