৯৬ দিন পর করোনায় মৃত্যুহীন দিন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো মানুষের মৃত্যু হয়নি। দীর্ঘ ৯৬ দিন পর মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। এর আগে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন ছিল গত বছরের ৯ ডিসেম্বর। দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনের।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২১৭ জন। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর কয়েকদিন দেশ মৃত্যুহীন ছিল। ওই বছরের ৪ এপ্রিল দুজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে দেশে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এক বছর সাত মাস ১৬ দিন পর ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ।
এরপর করোনার কমে যায় মৃত্যু ও শনাক্ত। কিন্তু ফের পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে মৃত্যু ও শনাক্ত। প্রতিদিন করোনায় প্রাণহানি ঘটতে থাকে। এরপর আবার গত ৯ ডিসেম্বর করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে মৃত্যুশূন্য দিনের সংখ্যা বাড়ে না।
পুনরায় বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিল। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে বিশ্বে। বাংলাদেশেও নতুন ধরনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বাড়তে থাকে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত। এরপর দীর্ঘ ৯৬ দিন পর আজ মঙ্গলবার আবারও মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঘণ্টায় ৮৭৮টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৪৯ জনের নমুনা। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৩ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০০ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৮৯৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ছয় হাজার ৬৭৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ২১৯ জন।
আরএ/আরএ/