সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অস্বস্তিতে দেশের মানুষ। এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এমনকি কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টিরও সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার (১ মে) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার। তবে শুক্রবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে।
আব্দুর রহমান খান আরও বলেন, রাজশাহী যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এলাকায় আরও দুই-একদিন পর বৃষ্টি হবে। ৩ থেকে ৪ মে’র পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে। তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে। তবে ৫ থেকে ৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়বে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দেশের অন্যান্য এলাকার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে। চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি।