খালিদকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না স্ত্রী-সন্তান
ছবি: সংগৃহীত
মারা গেছেন বিচ্ছেদ বা বিষণ্নতার গানে আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ। মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই ইহ জীবনের ইতি টানলেন ‘সরলতার প্রতিমা’ ও ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ খ্যাত এই শিল্পী। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও ছেলে জুয়াইফা আরিফসহ সহকর্মী আর অসংখ্য ভক্তদের রেখে গেলেন এই শিল্পী।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউ ইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। খালিদ মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন। নিজের গণ্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে গ্রিন রোডে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাতেই তাকে লাশবাহী গাড়িতে করে নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে। তার আগে মধ্যরাতে ঢাকায় তার বাসস্থান গ্রিন রোডের জামে মসজিদে এক দফা নামাজে জানাজা হয়েছে। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
জানাজার আগে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সংগীতশিল্পী খালিদের ভগ্নীপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি জানান, খালিদের স্ত্রী ও সন্তান নিউইয়র্কে আছেন। তারা মৃত্যু খবর পেয়েছেন। হুট করেই তারা বোধহয় আসতে পারছেন না। যেহেতু আমাদের ধর্মে মরদেহ ২৪ ঘণ্টা রাখার নিয়ম নেই। পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজার পর খালিদকে সমাহিত করা হবে। খালিদের স্ত্রী-সন্তান আসবেন ঠিকই কিন্তু হয়ত তারা লাশ দেখতে পারবেন না।
বাবার মৃত্যুর পর সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সন্তান জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, ‘আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন।’