যেভাবে খুলনা থেকে নোবেলের বাসায় আরশি
ছবি:সংগৃহীত
কদিন আগেই নিজের ফেসবুক থেকে নিজের বিয়ের খবর জানান দেন সময়ের আলোচিত-সমালোচিত সারেগামাপা খ্যাত গায়ক ময়নুল আহসান নোবেল। সেখানে তিনি আরশি নামের একজনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ কিছু ছবি পোস্ট করে জানান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তবে নোবেলের বর্তমান স্ত্রী সালসাবিল গণমাধ্যমে জানান নোবেল মেয়েটিকে তুলে এনেছে।
নোবেল যখন ফেসবুকে ছবি হালনাগাদ করেন তখনও খুলনায় বসে আরশির স্বামী নাদিম মাহমুদ বিশ্বাস করতে পারেননি যে সেটা আরশি। কেননা কদিন আগে থেকেই আরশির ফেসবুক দেখছিলেন সেখানে তাকে নিয়েই রিলস দিচ্ছেন, ভিডিও দিচ্ছেন। হঠাৎ করে আরশির চেঞ্জ দেখেন নাদিম।
এরপর নোবেলের ঢাকার বাসায় যান নাদিম। সঙ্গে ছিলেন আরশির বাবা, ভাই ও নাদিমের দুলাভাই। গিয়ে সেখানে দেখেন আরশি ও নোবেল নেশা করছেন। এসব কথা গত রাতে লাইভে জানিয়েছেন আরশির স্বামী নাদিম নিজেই।
ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি আরশিকে ফেরত আনতে গিয়েছিলাম। সে (আরশি) আমাকে স্বামী হিসেবে সরাসরি অস্বীকার করে, সে আমার সঙ্গে আসতে চায়নি। কথা বলার একপর্যায়ে নাদিম আহমেদ কেঁদে ফেলেন। তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না জানিয়ে ফেসবুক লাইভে দর্শকদের নিকট মন্তব্যের ঘরে পরামর্শ চান।
লাইভের শুরুতেই নাদিম বলেন, আমার সঙ্গে কী ঘটে গেছে আমি জানি। এটা আমার লাইফের পেইনফুল একটা ঘটনা। আমাদের ভালোবাসার সংসার ছিল, সবকিছু ভালো চলছিল। হঠাৎ করেই চলে গেল। পরে হুট করে দেখি নোবেলের সঙ্গে বিয়ের স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমি প্রথমে মানতে পারছিলাম না এটা আরশি। আমার জন্য ব্যাপারটা খুব ইমোশনাল।
তিনি বলেন, একটাই কথা স্ত্রীকে কিন্তু আমি ছাড়িনি, আমি ডিভোর্স দিইনি। সেটা সে অবস্থায় আছে। আমি চেষ্টা করেছি তাকে ফিরিয়ে আনতে। আমি পুলিশ নিয়ে তার বাসায় গিয়েছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে আসেনি, আমাকে অস্বীকার করেছে।
এদিকে আরশি জানান, আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি, তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে। নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।