'গানের বুলবুল'র চলে যাওয়ার চার বছর
কিংবদন্তি গীতিকবি, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সংগীতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র। আজ তার চলে যাওয়ার চার বছর।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একুশে পদক, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই কিংবদন্তি।
দীর্ঘ সংগীত জীবনে সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপা, আইয়ুব বাচ্চুসহ দেশের প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীদের জন্য গান করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
তার করা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমারি প্রেমও ভিখারি’, ‘ও আমার মন কান্দে, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’।
এএম/এসএন