সঞ্জীব উৎসব আজ
সংগীত ও সাংবাদিকতায় অনন্য মুগ্ধতা রেখে গেছেন সঞ্জীব চৌধুরী। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) তার জন্মদিন। সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রায় প্রতি বছর একটি কনসার্ট হয়। যেটার নাম ‘সঞ্জীব উৎসব’। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বরে থাকছে সেই আয়োজন।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে উৎসবের একাদশ আসর। ১৫ জন একক শিল্পী ও ৩ ব্যান্ডের পরিবেশনা থাকছে এই উৎসবে। অনুষ্ঠানে গান শোনাবেন লিমন, লাবিক কামাল গৌরব, জয় শাহরিয়ার, আরমীন মূসা, সন্ধি, সালেকিন, শুভ্র, রিয়াদ হাসান, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, অর্ঘ্য, রাফসান, লিসান, পলাশ ও পিজু এককভাবে গান শোনাবেন। ব্যান্ড তালিকায় থাকছে বাংলা ফাইভ, দুর্গ, কোলস্লো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
এই উৎসব সূচনার মূল ভাবনায় রয়েছেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজধানী শহরে টানা এগারো বছর ধরে একটি আয়োজন চালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। এটা সম্ভব হয়েছে সঞ্জীবপ্রেমীদের ভালোবাসার শক্তিতেই। চাকচিক্যে ভরা অনেক বড় আয়োজন, এমনটা আমাদের চিন্তায় কখনোই ছিল না। এখনো নেই। আমাদের মূল উদ্দেশ্য, এটা এমন উৎসব হোক, যেখানে প্রতি ডিসেম্বরে সঞ্জীবপ্রেমীরা টিএসসিতে এলেই আয়োজনটি যেন দেখতে পান।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব চৌধুরী। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে। এর পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত-সাহিত্য চর্চা।
খ্যাতিমান এই শিল্পী বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’। তার কণ্ঠে জনপ্রিয় কয়েকটি গান হলো- ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি ফিরে পেতে চাই’, ‘চোখটা এতো পোড়ায় কেন’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘বায়স্কোপ’ ইত্যাদি।
২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।
এএম/এমএমএ/