আসছে জিনাল মোনের নতুন অ্যালবাম
মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্রমজীবি পরিবারের, ক্যানসাসের মেয়ে জিনাল মোনে একটি অ্যালবামের কাজ করছেন। আটবারের গ্র্যামি অ্যাওয়াডের জন্য মনোনীত এই গায়িকা, অভিনেত্রী ও র্যাপারের বয়স এখন ৩৭।
তিনি ২০১৮ সালের অ্যালবাম ‘ডার্টি কম্পিউটার’ এর পরের অ্যালবামটি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার একটি দ্বৈত সত্ত্বা আছে।’ যখন তিনি অভিনয় করেন, তার গানের সত্ত্বাটিকে আলাদা করে রাখে। আবার যখন গান করেন, তখন অভিনয় প্রতিভাটি লুকিয়ে থাকে।
এনএমই’র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই গানের তারকা, ‘গ্লাস ওনিয়ন: আ নাইফ আউট মিস্ট্রি’ ছবির হিট নায়িকা, বলেছেন, ‘আসলেই আপনারা নতুন গান পাবেন।’ তিনি মজা করেছেন তার সত্ত্বা নিয়ে, ‘আমি আপনাকে বলতে পারছি না সেটি আমি হব না, হব না।’
আর অ্যালবামের বিষয়ে বলেছেন, ‘ঠিক এখন তারা স্টুডিওতে আছে।’ তিনি আরও বলেন ‘আমি এখন এত গর্বিত ও খুব ভালো বোধ করছি যে, এতকিছুর পর গানের কোনো কাজ করা আমার কাছে আর্শীবাদ মনে হচ্ছে। এমন কিছুই করছি যাকে আপনারা হালকাভাবে নিতে পারবেন না।’
তিনি তার ‘ডার্টি কম্পিউটার’ করার সময় স্টুডিওতে তুমুল চাপ অনুভবের পর উত্তেজনার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং চিকিৎসা করে ভালো হয়েছেন। তারপর আবার তার স্টুডিওতে প্রবেশ করেছেন। তার উচ্চ প্রশংসিত এই অ্যালবামটির কাজ তার জন্য তখন আরও কঠিন ছিল এই কারণে বলে তিনি জানিয়েছেন, ‘তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিবেশও কঠোর হয়েছিল। দারুণ উত্তেজনা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।’
এনপিআরকে তখন একটি স্বাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি, ‘এই প্রথম আমি ভয় পেয়ে গেলাম সত্যিকারভাবে। আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম। আমাদের বিরাট দেশটিকে তখন অনেককিছু ঘটে চলেছিল একের পর এক। আমি জানতামও না তাদের সঙ্গে উৎসাহিত হয়ে চলব কী না বা করব কী না? তবে আমার মতো এবং সাধারণ মানুষদের জন্য কিছু করতে খুব মন চেয়েছিল। যারা বর্ণবাদের বিপক্ষে স্বোচ্চার, যারা যৌনতার বিপক্ষে সংগ্রামী, বিদেশিদের হামলে পড়ার বিপক্ষে কাজ করেন এবং ইসলামফোবিয়া বা ইসলামের আতঙ্কে কাতর, সেসব তো ছিলই, সবকিছুই তখন ছিল দেশের প্রধানের সংকটের কারণে। আমি কী ঠিক জানতাম আসলেই কী হচ্ছে। ফলে আমার দিনের পর দিন ভুগে উত্তেজনার রোগ হয়ে গেল। তবে সেগুলো যেন আমাকে শেষ করে দিতে না পারে, থামিয়ে না দেয়, সেজন্য কাজ করেছি আমি। সেসব হতে দেইনি। তাও আমার গানের মাধ্যমে। তখনকার সময়ে আমার কাজ আছে আমার অ্যালবামটিতে। একটি বিশেষ গানের কথা আমি বলতে পারি-আমেরিকানস, ডিলস উইথ দ্যাট।’ যারা এই দেশকে গড়ে তুলেছেন, সেজন্য কাজ করছেন, তাদের কাঁদতে দেওয়া যায় না।’
তিনি আরও জানান, আমার পূর্বপুরুষরা এই দেশটিকে গড়ে তুলেছেন। তারা হোয়াইট হাউজ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে আমি তাদের পরের প্রজন্ম হিসেবে গেয়েছি, ‘আই অ্যাম আমেরিকান অ্যান্ড ইউ ইউল নেভার টেক দ্যাট অ্যাওয়ে ফ্রম মি। উই আর নট রানিং। উই আর নট হাইডিং। উই আর নট অ্যালাউয়িং ইউ টু ডমিনেট আস’।
জিনাল মোনে গানের আইকন ‘প্রিন্স’র সঙ্গে তার কাজের স্মৃতিও মেলে দিয়েছেন এখানে। তিনি ৫৭ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল। প্রিন্সকে তার প্রজন্মের সবচেয়ে সেরাদের একজন হিসেবে মনে করা হয়। তিনিও একজন কালো গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও রেকর্ড প্রযোজক। মোটে ছয়টি অ্যালবাম আছে তার।
জিনাল মোনে বলেন, তিনি আমার সঙ্গে আমার ‘ডার্টি কম্পিউটার’-এ কাজ করছিলেন। তার অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার আগে পর্যন্ত। প্রিন্স ছিলেন সাহায্যপ্রবণ। তিনি আমাকে গানের মাধ্যমে উদ্দীপনা লাভ করতে সাহায্য করতেন।’
ওএফএস/