গীতিকবি মনিরুজ্জামান মনিরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ট্রফি চুরি
খ্যাতিমান গীতিকবি মনিরুজ্জামান মনিরের অনবদ্য সৃষ্টির সুবাদে অর্জিত ৫টি ট্রফি চুরি হয়ে গেছে। ৩ নভেম্বর রাতে তার পশ্চিম মেরুল বাড্ডার বাসার জানালা ভেঙে চুরি হওয়া ট্রফিগুলোর মধ্যে ৩টিই ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
চুরির ঘটনার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুলিশি সহায়তা চেয়েছেন নন্দিত এই গীতিকবি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রফিগুলো উদ্ধার করা হয়নি। এ বিষয় নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে, দেশের নন্দিত এই অগ্রজ গীতিকবির চুরি হওয়া সম্মান পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে জোর দাবি জানাই পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। আমরা চাই অবিলম্বে ট্রফিগুলো উদ্ধার এবং দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শ্রদ্ধেয় মনিরুজ্জামান মনিরের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, ৩ নভেম্বর রাতে তাঁর বাসার জানালা ভেঙে মোট পাঁচটি পুরস্কারের ট্রফি নিয় যায় অজ্ঞাতনামারা। বিষয়টি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর টের পান তিনি। এরপর সেগুলো উদ্ধারের লক্ষ্যে ৫ নভেম্বর বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর ৩৬১। পুলিশ তার বাসা পরিদর্শন করে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে পুলিশের কাছে আর কোনো অগ্রগতি মেলেনি।
আমরা মনে করি, এই ঘটনাটি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার প্রতি বড় হুমকি এবং শিল্পীদের প্রতি অসহায়াত্বের বার্তা দেয়। তাই জাতীয় এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ করছি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আমরা মনে করি, সরকারের দেওয়া স্বীকৃতি চুরি বা ডাকাতি হলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের ওপরেই বর্তায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে এই বিষয়টির সমাধান না হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচিতে যাব। কারণ, আমাদের প্রতিটি সদস্য ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের কাছে এই বিষয়টি প্রচন্ড আবেগ ও অভিমানের।
মনিরুজ্জামান মনিরের চুরি যাওয়া ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে, ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুই জীবন’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া আমি একা পৃথিবীটা মেঘে ঢাকা’, ১৯৮৯ সালের ‘চেতনা’ ছবির ‘এই হাত করে নাও হাতিয়ার’ এবং ১৯৯০ সালের ‘দোলনা’ চলচ্চিত্রের ‘তুমি আমার কত চেনা’ গানগুলো।
এএম/এমএমএ/