কুমার বিশ্বজিতের ‘পুতুলের’ বয়স ৪০
১৯৮২ সালে জন্ম। নামটি তার পুতুল। এখন ২০২২। বর্তমানে তার বয়স ৪০। জন্মের পর থেকেই ৪০ বছর বয়সেও পুতুলের প্রতি কারও আদর ভালোবাসা বিন্দুমাত্রও কমেনি। বরং রেড়েছে হাজার গুণে। এই পুতুল রক্ত-মাংসে গড়া কোনো পুতুল নয়। এটা আবার কোনো পুতুল কোম্পানির তৈরিকৃতও নয়। এই পুতুল কিংবদন্তি শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া গানের পুতুল।
‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে/হৃদয়ের কোঠরে রাখব/আর হৃদয়ের চোখ মেলে তাকিয়ে/সারাটি জীবন ভরে দেখব/আমি নেই নেই নেইরে/যেন তোরেই মাঝে হারিয়ে গেছি’ এই গানটি শোনেননি বাংলা ভাষাভাষি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
আবদুল্লাহ আল মামুনের লেখা এবং নকীব খানের সুরে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিত। এই গানের পর কুমার বিশ্বজিতকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গানের ভুবনে সেই তার শুরু। পুতুলকে সঙ্গী করে তার গানযাত্রা অনবদ্য হয়ে উঠেছে। একের পর এক গান গেয়ে জয় করেছেন কোটি কোটি শ্রোতাদের প্রাণ।
গানের এই পুতুলের ৪০ বছর বয়সে এসে কুমার বিশ্বজিত ঢাকাপ্রকাশ-কে জানালেন তার কাজের অভিজ্ঞতা।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘১৯৮২সালে গানটি গাওয়ার জন্য আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে হোটেলে উঠেছিলাম। প্রথমদিন গানটির রেকর্ডিং হয়নি। এ কারণে আমাকে হোটেলে আরও তিনদিন থাকতে হয়েছিল। তখন আমার হাতের অবস্থাও ভালো ছিল না। আমি আবু তাহেরকে নিয়ে ঝংকার স্টুডিওতে গিয়ে গানটি রেকর্ডিং করেছিলাম। তিনদিন হোটেলের খাবার খেয়ে পেটের পীড়ায় ভুগছিলাম। ওইসময় আমার মনে আছে গানটি রেকর্ডিংয়ের ফাঁকে আমি ১৭ বার বাথরুমে গিয়েছিলাম। তারপরও গানটি শেষ করার পর যখন বিটিভিতে ‘শিউলিমালা’ অনুষ্ঠানে প্রচার হলো। সেদিন থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় । এই গানের পর ওই বছরই আমার একক অ্যালবাম ও সিনেমার গান প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই আমি কুমার বিশ্বজিত হয়ে গেলাম। এমন একটি গান আমাকে দেওয়ার জন্য গীতিকার আবদুল্লাহ আল মামুন ও নকীব খানের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
কুমার বিশ্বজিত আরও বলেন, ‘এই গানের কাব্য ও রোমান্টিকতা আজও মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। এই পুতুল সারাজীবনই পুতুলই রয়ে যাবে। পুতুল কখনোই বড় হবে না। পুতুল ভালো থাকুক সব সময়।’
এএম/এমএমএ/