শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘আমিই একমাত্র কাজ করে চলেছি’

ডিউক ফকির একজন বিখ্যাত প্রবীণ বাংলাদেশি। তিনি অত্যন্ত বিখ্যাত একজন ব্যান্ডস্টার। তার সাক্ষাৎকার অনুবাদ করেছেন ওমর শাহেদ।

চারজন হাইস্কুলের বালক--ডিউক ফকির, লিভাই স্টাবস, রেনাল্ডো ‘ওবি’ বেনসন এবং লরেন্স পেইটন। তারা একত্রে গান করতে খুব ভালোবাসতেন। তাদের গানের ব্যান্ডদল ‘ফোর টপস’ জন্মভূমি ডেট্রয়েটে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে টানা ১০ বছর সক্রিয় ছিল।

এরপর তাদের ব্যান্ডদল ব্যারি গোডির মোটাউন লেভেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৯৬৩ সালে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর থেকে তাদের হিট গান আসতে শুরু করল স্রোতের মতো। খুব হিট করেছে ‘আই ক্যান্ট হেল্প মাইসেলফ’, ‘রিচ আউট আই উইল বি দেয়ার’, ‘ইটস দ্য সেম ওল্ড সং’। তাদের এমন গানের তালিকা আরও আছে। ফকির ডিউক আবার ফিরে এলেন ডেট্রয়েটে। তিনি ‘ফোর টপস’ গড়লেন নতুন করে।

এখনো গান করে চলেছে সক্রিয় এই ব্যান্ডদল। তাদের শুরুর দলটির একমাত্র গায়ক ও ব্যান্ড লিডার ‘ডিউক ফকির’। তার জন্য একটি অনন্য উত্তরাধিকারও। তার বয়স এই ২০২২ সালে ৮৬ বছর। তিনি এখনো সুস্থ আছেন। তার চারপাশে সত্যিকারের গায়কদের জড়ো করেছেন। তাদের ফোর টপস আসল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে লরেন্স পেইটনের ছেলে লরেন্স পেইটন জুনিয়র আছেন। তিনি গান করেন ও বেস গিটার বাজান। এ সাক্ষাৎকারে তাদের গানের দলটি নিয়ে বলেছেন ডিউক ফকির।

কীভাবে আপনি আপনার এই ব্যান্ডমেটদের জড়ো করেছেন?

ডিউক ফকির: এই কাজটি আমার জন্য খুব সহজ ছিল। কেন না তারা সবাই আমাদের খুব ঘনিষ্ট ছিল। আমাদের সঙ্গে আছে লরেন্সের ছেলে। আছে গানের সহ-লেখক ও রেনাল্ডোর অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু রনি মেকনেয়ার, আমাদের সঙ্গে ১২ বছর ধরে আছেন। তিনি আমাদের ৩০/৪০ বছর ধরে অত্যন্ত কাছের বন্ধু। আমাদের আজকের ব্যান্ডদলের তৃতীয় ব্যক্তিটি হলেন হ্যারল্ড বোনহার্ট। যে লিভাইয়ের মতো বাজাতে পারে। তিনি আজ কিংবদন্তি , তবে আমি তাকে আট বছর ধরে চিনি। আমাদের দলে কয়েক বছর ধরে আছেন। তিনি তৈরি আছেন। আমাদের সংগীতসুধা ভালো হচ্ছে। আমার কখনো সেখানে কোনোকিছু যুক্ত করতে হয়নি। আমরা সবাই খুব ঘনিষ্ট। আমাদের পরিবারে একজন তখন হাঁটেন, যখন সেটি সঠিক সময় হয়।

এখন যে লাইন আপ আছে, সেটি ক্ল্যাসিক লাইনআপের কতটা কাছাকাছি?

আপনি যতটা মনে করেন। এই ব্যান্ডটিই সবচেয়ে সেরা সাউন্ড ব্যান্ড যখন থেকে লিভাই গান করা থামিয়ে দিল। যখন থেকে ফোর টপসে ওবি এবং লরেন্স আর আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলাম। দলের সঙ্গে থাকলে অবশ্যই আপনি সবার এ-গেম লাভ করবেন। আমাদের দলটি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যান্ডদলগুলো যখন স্টেজে থাকে, তখন প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আমাদের সেরা সময়ে থাকতে হয়, নচেৎ ড্রেসিংরুমে আলাপের বিষয় হয়ে যেতে পারি। আমাদের নিয়ে হাসি, ঠাট্টা হতে পারে। গানে আমরা একে, অন্যের সঙ্গে খেলি, সেটি আমাদের নিজেদের পায়ে দাঁড় করিয়ে রাখে।

মোটাউন লস অ্যাঞ্জেলসের চলে গেল ১৯৭২ সালে আলাদা ব্যান্ডদল হয়ে। তবে আপনি এখানে থেকে গেলেন?

আমরা ঘরের ছেলে ছিলাম। আমি একজন ডেট্রয়েট মানুষ। আমি তাকে ভালোবাসি। এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দিত যে, আমি লস অ্যাঞ্জেলসে বেরিয়ে পড়িনি। আমরা যেকোনো সময় সেখানে চলে যাবার একটি সুযোগ লাভ করেছিলাম। আমরা সেখানে সামান্য সময় কাজ করেছি। তবে আমার বাড়ি হলো ডেট্রয়েট। আমি তাকে ভালোবাসি। আমি এখানে আমার অবসর নেওয়া সব বন্ধুদের সঙ্গে গলফ খেলি। আমি তাদের সঙ্গে বেড়ে উঠেছি। তাদের মধ্যে আমিই একমাত্র যে এখনো কাজ করে চলেছি।

ফোর টপসের বিষয়ে অনেক লেখা হয়েছে। মানুষ জানে না এমন কোনো কিছু আমাদের বলুন...।

মানুষজন বুঝতে পারে না যে, যখন তারা একত্রে কাজ করে, একসঙ্গে থাকে ও কিছু কাজ করে সেটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবার একটিই লক্ষ্য ছিল। আমরা ছোটবেলা থেকে সেটি নিয়ে থেকেছি। একমাত্র মৃত্যুই আমাদের আলাদা করতে পারবে-এমনটিই ভেবেছি। ফলে সেই কাজগুলো করা আমাদের জন্য সহজ ছিল। সাফল্যের জন্য একজনের চেয়ে একত্রে থাকা শক্তিশালী। মানুষ আমাদের ব্যান্ডদলের এই বিষয়টি জানে না।

তারা আরও জানে না, আমরা গানের কত ধরন রেকর্ড করেছি এবং গাইতে কতটা আনন্দ লাভ করেছি। আমরা সব ধরনের গানই গেয়েছি শুরু থেকে, কেবল আর অ্যান্ড বি নয়। আমরা গাইতে শুরু করেছি জ্যাজ,পপ, হিট প্যারেডি, কান্ট্রি, ওয়েস্টান, ব্লুজ, সবকিছুই আমরা গেয়েছি। হিপ হপে খুব ভালো করেছি। আমাদের কিছু কর্মী ছিলেন অ্যালবামের জন্য। তারা খুবই আশ্চর্য হতেন যে ফোর টপস এমন। আমি অমাদের নিজেদের রেডিও স্টেশনে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি। আমাদের একশ’র বেশি গান সেখানে আছে, যেগুলো মানুষ শোনেনি।
আপনারা কান্ট্রি মিউজিক করেছেন?

আমরা গেয়েছি। আমাদের কয়েকটি কান্ট্রি মিউজিক জনপ্রিয় হয়েছে। আমরা গান ভালোবাসি। আমরা এক ধরনের গান গেয়ে বড় হইনি। আমরা গান গাইতে গাইতে বড় হয়েছি। এমনকি যখন আমরা রেকডিং করতাম তখনো দেখতাম, কোনোকিছু সেখানে বাদ পড়ে গেল কি? আমরা কিছু কভার করেছি। ‘এলেনর রিগবি’, ‘মিশেল’, ‘ইউ নেম দেয়ার’।

তখন কি আপনারা বিটলসের ভক্ত ছিলেন?

অবশ্যই আমরা বিটলসের ভক্ত ছিলাম। তাদের ম্যানেজার ব্রায়ান অ্যাপস্টাইন আমাদের ফোর টপসকে একটি মার্কিন ট্যুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের প্রোমোশনের জন্য কাজ করেছেন। আগের রাতে তিনি আমাদের প্রমোশনের জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা সেরা শো করতে পারো আজ রাতে, আমি তোমাদের গ্যারান্টি দিতে পারি তোমরা তোমাদের কনসার্ট ট্যুরের জন্য আসতে পারবে। প্রথম পাতায় খবর হবে। বছরের পর বছর তোমাদের মানুষ ভালোবাসবে। আমি তোমাদের এখানে বিটলসের মতো জনপ্রিয় করতে চলেছি।’ তিনি তাই করেছেন। যখন আমরা ফিরে এলাম, প্রথম পাতায় খবর হয়েছি। সব টিকিট বিক্রি হয়েছিল। একটি দারুণ ট্যুর করেছি। তিনি দি রোলিং স্টোন, দি বিটলস, স্মল ফেস এবং আরো কয়েকটি ব্যান্ড দলের সঙ্গে একটি পাটির আয়োজন করেছেন। আমি সেদিনের কথা কখনো ভুলতে পারি না। সবাই গান নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। এটি ছিল মহৎ কাজ। খুবই উত্তেজনাময়।

দিনের পর দিন এত হিট গান কীভাবে করেছেন?

আমি জন্ম থেকে একজন শিল্পী। আমার এই মানসিকতাটি আছে। আমরা যে গানগুলো করি, সেগুলো দর্শকরা যতদিন ভালোবাসেন, আমরা ততদিন কাজ করতে থাকি। এটি দেখতে পারা একটি আনন্দের বিষয় যে, আমাদের গান শুনে লোকে লাফ দিয়ে উঠছে, তারা উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। আমার জন্য এটি একটি থ্রিল। তারা আমাদের কাজের একটি অংশ হতে চায় এবং এ একটি বিষ্ময়কর বিষয়। এমন আর কোনো ভালোবাসা আপনি পেতে পারেন?

উল্লেখ্য. ডিউক ফকির নামের বিখ্যাত এই মানুষটির ভালো নাম আবদুল করিম ফকির। তিনি জন্মেছেন ১৯৩৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর। তিনি একজন আমেরিকান গায়ক। তিনি মোটাউন কোয়াটেট নামের ব্যান্ড দলের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কোয়াটেট মানে হলো চতুষ্টয়। পরে তাদের ব্যান্ড দলের নাম বদলে হয় ফোর টপস। ১৯৫৩ সাল থেকে এই নামে আজ পযন্ত গাইছেন তারা। তাদের ব্যান্ডদলের তিনি একমাত্র কাজ করে যাওয়া সদস্য। তার দলে আছেন এখন রনি মেকনেয়ার, লরেন্স রোক্যাল পেইটেন জুনিয়র তিনি দলের আসল সদস্য লরেন্স পেইটেনের ছেলে এবং আলেকজান্ডার মরিস। ডিইক ফকিরের জন্ম আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে। তার বাবা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী ছিলেন।

ওএফএস/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার