শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চলে গেলেন পাকিস্তানের ‘মেলোডি কুইন নাইয়ারা নূর’

পাকিস্তানের ‘মেলোডি কুইন’ নাইয়ারা নূর। সীমান্তের দুই পাশেই পূজিত। তিনি আর নেই। চলে গিয়েছেন ২০ আগস্ট, ২০২২ সালে।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী ও দেশের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে শেষ বিদায় নিয়েছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে তার ভক্ত করেছেন গভীর ও ভাবপূর্ণ সুর ও সংগীতে।

তিনি মৃত্যুর আগে স্বল্পকালের জন্য রোগে ভুগেছেন। তার পরিবার রবিবার জানিয়েছে তার চলে যাবার খবর, ‘ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করা শেষ সঙ্গীত আইকনদের একজন ছিলেন নাইয়ারা নূর। তিনি জীবনের শেষ দিকে বেশ কবার চিকিৎসা নিয়েছেন করাচিতে।’

তার আত্মীয় রাজা জায়িদী বলেছেন টুইটারে গভীর বেদনার সঙ্গে, ‘আমি আমার খালা নাইয়ারা নূরের চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছি। তার আত্মা শান্তিতে ঘুমাক।’

‘তিনি একটি ঈর্ষনীয় উত্তরাধিকার তৈরি করেছেন এবং রেখে গিয়েছেন সেখানে সুমিষ্ট উপস্থাপনার বিপুল গুপ্তধন।’

নাইয়ারা নূর একজন প্লেব্যাক গায়িকা ছিলেন। প্রশান্ত ধরণের গায়িকা। তিনি ছিলেন খুঁতখুঁতে। প্রথম থেকে তার গানের উচ্চমান বজায় রেখেছেন। ১শর বেশি গান রেকর্ড করা আছে তার পাকিস্তানের সিনেমাগুলোতে। তিনি উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পীদের একজন বিবেচিত ছিলেন। পাকিস্তান টিভির শো গুলোতে ‘লাইভ গজল’ অনুষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। তিনি পুরো দেশের কনসাট হলগুলোতে পারফম করতেন।

তিনি জন্মেছেন ভারতের আসাম প্রদেশের ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ধারের আঁকা-বাঁকা শহর গৌহাটিতে। ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর।

নাইয়ারা নূরের ব্যবসায়ী বাবা ছিলেন অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের অন্যতম সমর্থক ছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগের উত্তাল সময়ে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে আসামে এসেছেন, তার বাবা সেই বিরাট সমাবেশে উপস্থাপক ও অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

এরপর দেশ ভাগ হলো। হিন্দু, মুসলমানের হানাহানি ও বিববাদ তাদের ঘিরে ধরেছে। ফলে ১৯৫৮ সালে তাদের পরিবার শেষ ঠিকানা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হলো। শরণার্থী হিসেবে চলে গেল পাকিস্তানের পাঞ্জাবে।

নাইয়ারা নূরের মৃত্যুর খবর জানিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম সংবাদ মাধ্যম ডন তার একটি জীবন থেকে একটি উদ্বৃতি উল্লেখ করেছে, ‘শিক্ষা অর্জন আমাদের সব ধরণের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ছিল কিন্তু সঙ্গীত ছিল বিনোদনের সবচেয়ে বড় উৎস।’
নাইয়ারা নূর কবুল করেছেন যে ‘তাদের প্রজন্মের সব সময়ের প্রিয় ছিলেন কানন বালা ও বেগম আখতার। লতা মুঙ্গেশকর ছিলেন তাদের সবার কাছে একটি আবেগ।’

তবে এই মানুষটির কিন্তু শুরুতে গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। গানকে ভালোবেসে শেখাই তার জীবনের ধরণ। তিনি বেগম আখতারের গজলগুলোতে মোহিত হয়ে গান শেখার শুরু করলেন। কানন বালার ভজনগুলোও তার জীবনের ধর্ম হয়ে গেলে ছোটবেলা থেকেই।

যখন তার বন্ধু, সহপাঠী ও শিক্ষকরা একটি গানের অনুষ্ঠানে তার পরিপাটি উপস্থাপনে চমকে গেলেন, তখন তার মূল (মাতৃ) শিক্ষায়তন লাহোরের ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টসে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক আসরার আহমাদ তাকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও ক্রমবর্ধমান প্রতিভা হিসেবে চিহ্নিত করলেন।

এরপর দ্রুতই তাদের সাহায্যে নূরের জীবনটি গানের দিকে চিরকালের জন্য চলে যেতে থাকলো।

দ্রুতই তিনি রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠানগুলোতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গেয়ে চলেছেন-নিজেকে আবিস্কার করলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধের সময়ে নাইয়ারা নূরে অভিষেক ঘটেছে পাকিস্তান টেলিভিশনের গানের আসরগুলোতে।

এরপর নির্বিঘ্নেই এই প্রখ্যাত গায়িকা পাকিস্তানের সিনেমাগুলোতে গান করা শুরু করলেন। তার মেলোডি, কন্ঠের জাদু চিরকালের জন্য গাঁথা আছে ‘ঘরানা’, ‘তানসেন’র মতো বিখ্যাত ছবিতে। তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সিনেমা পুরস্কার ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন ‘ঘরানা’র জন্য। ছবিটি ১৯৭৩ সালে বেরিয়েছে। তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে থাকবেন তার গজলগুলোর জন্য।

তিনি মাহফিলগুলোতে পরিবেশন করেছেন। পাকিস্তান ও ভারতের সত্যিকারের গজলপ্রেমীদের অনুরোধে গাইতে গিয়েছেন তিনি ও তাদের সঙ্গ দারুণভাবে উপভোগ করেছেন, মাতিয়ে দিয়েছেন সবখানে।

তার অত্যন্ত বিখ্যাত বা সুপারডুপার হিট গজল হলো ‘এ জাজবার-এ-দিল-ঘার মেইন চাহু’। গীতটি লিখেছেন একজন বিখ্যাত উর্দু কবি বেহজাদ লখনোইভি। তিনি পাকিস্তান রেডিওর একজন বিখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন।

এ ছাড়াও তিনি গলায় পরিবেশন করেছেন চিরকালের জন্য বিশ্বখ্যাত কবি গালিব, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের গজল। পারফর্ম করেছেন মেহেদী হাসানের সঙ্গে।

ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের একটি দুর্লভ হিন্দি ভাষায় লেখা কবিতা হলো ‘বারখা বাসে চাট পের’। গানটি তিনি পেশ করেছেন তার স্বামী শাহরিয়ার জাহিদীর সঙ্গে ১৯৭৬ সালে। গানটি তারা পরিবেশন করেছেন নূরের জন্ম দিনে। এই গানটি তার জীবনে নিজে করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম হিসেবে গণিত।

নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়েই নাইয়ারা নূর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহরিয়ার জায়িদীকে। এরপর থেকে তিনি ধীরে, ধীরে লাইভ পারফরমেন্সগুলোর বিষয়ে খুঁত, খুঁতে হয়ে যেতে থাকলেন।

তিনি বলেছেন ডনকে একবার, ‘গান আমার জীবনে প্রবল অনুরাগ হিসেবে থেকেছে সবসময় কিন্তু আমার সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় হয়নি। আমি একজন ছাত্রী ছিলাম, পড়ালেখা করেছি, এরও আগে একজন কন্যা। এরপর আমি একজন গায়িকা হয়েছি। এই ধারাবাহিক জীবনে আমি বিয়ে করেছি। তারপর আমার প্রাথমিক দায়িত্বগুলো ছিল একজন স্ত্রী ও মায়ের জীবন।’

২০০৬ সালে এই গায়িকা নাইয়ারা নূরকে ‘বুলবুল-ই-পাকিস্তান’ খেতাবে সরকার ভূষিত করেছেন। সেই বছরেই তিনি ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স অ্যাওয়াড’ লাভ করেছেন। দিয়েছেন দুটোই পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। ২০১২ সালে তিনি তার পেশাগত গানের জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন।

দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ নাইয়ারা নূরের চলে যাওয়ায় গভীর দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘গানের দুনিয়ার একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

তিনি টুইটারে আরো লিখেছেন, ‘একটি গজল বা গানই হোক, নাইয়ারা নূর যাই গান, তিনি পরিপূর্ণভাবে গান করেন। তিনি চলে যাওয়ায় যে শূণ্যস্থান তৈরি হলো, কোনোদিনও পূরণ হবে না।’

নাইয়ারা নূর ও শাহরিয়ার জায়িদীর দুই ছেলে। বড় ছেলে নাদ-ই-অলী একজন একক গানের শিল্পী আর ছোট ছেলে জাফের জায়িদী কাভিশ মিউজিক ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট।

তাদের মা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গীত, নাজম (গজল ও নাজম উর্দু কবিতা এবং গান লেখার দুটি প্রধান ধারা) ও দেশের গান গেয়েছেন।

ওএফএস/

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম