শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোনালের পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, পুরস্কার বাতিলের দাবি বিশিষ্টজনদের

কণ্ঠশিল্পী কোনালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পওয়া নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। নকল কথা ও সুরের একটি গানে অল্প কয়েক লাইন গেয়ে পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়া কীভাবে সম্ভব হলো সেই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। তারা এই পুরস্কার অবিলম্বে বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এমন গানের জন্য কোনাল পুরস্কার পাওয়ায় বিষয়টি বেশ কিছু গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, অনুমতি ছাড়াই একটি পুরনো জনপ্রিয় গানের লাইন ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ ব্রিজলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোনালের গাওয়া গানে, যা কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। এমন গানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে কপিরাইট আইনকে খাটো করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যের গান অনুমতি ছাড়া ব্যবহারেও উৎসাহিত করা হয়েছে।

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এই পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য কখনও পারফেক্ট লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয় না। আমি অদ্যাবধি এটা দেখেছি। জুরিবোর্ডে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়, আমি মনে করি সেখানে দুজন চিত্রগ্রাহক থাকবে। যারা সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে বিচার করবে। দুজন ভালো সংগীত পরিচালক থাকবে, যারা ভালোভাবে গান বোঝেন। যারা এই উপমহাদেশের গান সম্পর্কে ধারণাও রাখেন। দুজন ভালো গীতিকার থাকা উচিত। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য পারফেক্ট লোক নিয়োগ সেখানে নেই বিধায় এই প্রশ্ন ওঠেছে। এমন একটি গানের কথা, বীর ছবিতে যে গানের দুটি লাইন সংযোজন করা হয়েছে। গানটির অর্জিনাল গীতিকার সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। অনেক হিট গান ‘তুমি আমার জীবন তুমি আমার মরণ’ গানের কথা এবং সুর। বীর সিনেমায় ব্যবহৃত এই গানটির সুর ও কথা দুটিই নকল। শুনলাম এই গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। জাতীয় পুরস্কার পায় কীভাবে? একটি গানের যদি দুটি লাইন বা একটি লাইনও হুবুহু একই অর্থ বহন করে। তবে আর গানটি মৌলিক থাকে না। যেমন রবীন্দ্রনাথের ‘আমি চিনিগো চিনি তোমারে ওগো বিদেশীনি’- এই একটি লাইন যদি আমি অন্য গানে ঢুকিয়ে দেই তখন সবাই বলবে এটা রবীন্দ্রনাথের লেখা।’

এই পরিচালক আরোও বলেন, ‘তুমি আমার জীবন তুমি আমার মরণ অত্যন্ত হিট গান। সেই গানটাকে নকল করা গানে কীভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। এটা ওরা জানতো না? নকল গানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হলে তা অবশ্যই বাতিল হয়ে যাবে। আমি চলচ্চিত্রে একজন পুরনো মানুষ হিসেবে বলব যদি এই গানটি নতুনভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যোগ্যতা সে রাখে না। কারণ নকল গানে পুরস্কার দেওয়া হয় না। সেটা সুর হোক, কথা হোক যাই হোক নকল গান গাইলে কোনো পুরস্কার দেওয়া হয় না।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডের অন্যতম সদস্য চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘ দেখেন-আমি জুরিবোর্ডে ছিলাম, কিন্তু জুরিবোর্ড জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয় না। যাচাই-বাছাই করে জুরিবোর্ড মার্ক দিয়ে শুধুমাত্র সাজেস্ট করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। পরে সেটাকে আবার যখন পুনঃবিচার করা হয় সেক্ষেত্রে জুরিবোর্ডের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয় না। জুরিবোর্ডেরও সেই এখতেয়ার থাকে না। আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন সেটার উত্তর আমার কাছে নেই। এর দায় জুরিবোর্ডের একার ওপর বর্তায় না। এখন এই বিতর্কের উত্তর আমার কাছে নেই। এটা আসলে জুরিবোর্ড দেয় না। যেহেতু সেটা হয় না, তাই এই দায় জুরিবোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে আমি নিতে চাই না।’

সমালোচনা ও বিতর্কে বিব্রত হয়ে এক ভিডিও বার্তায় বীর সিনেমার প্রযোজক মো: ইকবাল বলেন, ‘এই গানের কথা নকল, সুরও নকল। গানটির মিউজিক করেছি ইন্ডিয়া থেকে। তাহলে নকল এই গানে কোনাল কীভাবে পুরস্কার পায়? আমার সেন্সে মনে হয় এই গানে কোনাল কখনই পুরস্কার পায় না। কারণ আমি অন্যায়কে কখনও সাপোর্ট করি না। কথা নকল, সুর নকল কোনো গান কখনও পুরস্কার পায় না। মৌলিক গান, নতুন গান পুরস্কার পেতে পারে। আমারও একটা প্রশ্ন জাগে-রুনা লায়লা ম্যাডাম যখন গানটি ১৯৮৮ সালে গেয়েছেন তখন কি উনি এই গানটির জন্য পুরস্কার পেয়েছিল? আমার জানা মতে উনি পুরস্কার পাননি। আর যদি উনি পুরস্কারটা পেয়েও থাকেন তাহলে এক গানে কি দুইবার পুরস্কার দেওয়া হবে? তবে আমি জেনেছি ১৯৮৮ সালে রুনা লায়লা পুরস্কার পাই নাই। তাহলে কি কোনাল রুনা লায়লার চেয়েও বড় শিল্পী? প্রশ্ন আপনাদের কাছে।’

ইকবাল আরোও বলেন, ‘এই গান কোনোভাবেই কোনো রকমের পুরস্কার পেতে পারে না। কোনো নকল গান, গানের কথা নকল, নকল সুরের গান কখনও কোনোভাবেই পুরস্কার পেতে পারে না। এই গানের যে দুইটা লাইন শিল্পী গেয়েছে ওই দুইটা লাইনই পুরোটা অন্য ছবির গান। এর মানে এই না যে এই গানে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। কারণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এর আগে এমন কোনো রেকর্ড নেই কোনো নকল গান বা নকল ছবিতে পুরস্কার পেয়েছে। তাহলে বীরের গানে কেন পুরস্কার পাবে? এটা অন্যায়। আমি এই অন্যায়কে সাপোর্ট করি না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হওয়াটাই একটা লজ্জাজনক ব্যাপার। এর জুরিবোর্ড কেন এমন করল। তাই উনারা যাচাই-বাছাই করে দেখুক। আমি সত্য নাকি মিথ্যা বলেছি। কেউ যদি উল্টাপাল্টা করে পুরস্কার নেয় তবে অবশ্যই এ পুরস্কার বাতিল করে একেবারে ফ্রেশ গানে পুরস্কার দেওয়া উচিত।’

‘অবুঝ হৃদয়’ সিনেমার ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’-এ গানের ব্রিজলাইনটুকু নিয়ে ‘বীর’ সিনেমার জন্য নতুন করে গানটি তৈরি করা হয়েছে। গানটি লিখেছেন কবির বকুল। ভারতের সংগীত পরিচালক আকাশ সেনের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান  ও কোনাল।

সিনেমাটি মুক্তির পরই এই গান নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এবার এই গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ায় কোনালকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। শিল্পী এ বিষয়ে এখনো কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে গানটির নাম ‘ভালোবাসার মানুষ তুমি’ লেখা হয়েছে। তবে শাকিব খানের এসকে ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ‘তুমি আমার জীবন’ নামেই প্রকাশ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘অবুঝ হৃদয়’ সিনেমায় আহম্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লেখা ও সুরে ‘তুমি আমার জীবন’ শিরোনামে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর।

এএম/এসআইএইচ

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‌'স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।'

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের অভিমত হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ, স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের আগে যদি জাতীয় নির্বাচনে যাই, তাহলে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ঝুলে যাবে। কারণ এখন আমাদের যে চিন্তা-ভাবনা, স্থানীয় নির্বাচন যেটা আছে সেটা কোনো সিস্টেম না। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, আলাদা আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো কমপ্রিহেন্সিভ সিস্টেম নাই। এই সংস্কারের বড় কাজ হবে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করে দেওয়া। এখন সিস্টেম কী হবে? যে সিস্টেম আছে সেটা আইয়ুব খানের ভাবনায় রেখে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর পরে উপজেলা, তার ১০ বছর পর উপজেলা পরিষদ হয়েছে। এতে কম্প্রিহেন্সিভ কিছু হয়নি। এই সিস্টেম করার জন্য এখন মোক্ষম সময়। কেননা, বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কিন্তু নেই। কেবল ইউপি আছে। কাজেই ছবি আঁকার এটাই সময়। আমরা যদি সিস্টেম করতে পারি যে, একটা কম্প্রিহেন্সিভ আইন হবে। সেই আইনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান চলে আসবে। এতে একটা তফসিল দিয়ে সবগুলো নির্বাচন করতে পারব।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। বাঁচবে সময়। অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল লাগবে।

তিনি আরও বলেন, হিসাব করে দেখেছি, গত কমিশন যে স্থানীয় নির্বাচন করেছে এতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯ থেকে ২০ লাখ লোক লেগেছে। ২২৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে যদি পার্লামেন্টারি সিস্টেম নিয়ে আসি। তাহলে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে একই সিস্টেম করতে পারব। তাহলে খরচ চলে আসবে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে। লোক লাগবে আট লাখ। সময় লাগবে ৪৫ দিন। তাহলে এই সিস্টেমে যাওয়ার জন্য অধ্যাদেশ করে যদি যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব। বর্তমানে যা আছে তা দিয়ে যদি স্থানীয় নির্বাচন করতে চান, তাহলে পাঁচটা আইন দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তা করা সম্ভব কি-না, তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টের যে মেম্বার তিনি স্থানীয় কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়েন না। তার কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। উনি যদি সমস্ত উন্নয়ন করেন তাহলে তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হলো। তিনি জবাবদিহিতা করাবেন কাকে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী এমপিরা এটা পারে।

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু