বাস্টার কিটেনকে নিয়ে ছবি হচ্ছে

লস অ্যাঞ্জেলস : চলচ্চিত্র নিমাতা জেমস ম্যানগোল্ড হলিউডের কিংবদন্তী বাস্টার কিটেনের জীবন অবলম্বনে আত্মজীবনীমূলক সিনেমা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন।
ডেডলাইনের তথ্যানুসারে, প্রকল্পটি উন্নয়নের জন্য তিনি ২০টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করছেন।
ম্যানাগেল্ডের দল এখন মারিয়ান মিডের লেখা ও ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী-‘বাস্টার কিটেন : কাট টু দি চেইস’টি সিনেমাতে রূপান্তরের জন্য চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
বইটি প্রকাশ করেছে কিটেনের প্রায়ই পাশবিকতার শিকার হওয়া ছেলেবেলা, সিনেমা ভুবনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাগুলো, তার মাস্টারপিসগুলো তৈরির গল্প, পড়ালেখা করতে না পারার জন্য তার লজ্জা, তার জীবনকে ধ্বংস ও নাশ করার মদপানের অভ্যাস এবং কিটেনের অশান্ত বৈবাহিক সম্পকগুলো।
৭০ বছর বেঁচে থাকা বাস্টার কিটেন জন্মেছিলেন ১৮৯৫ সালের ৪ অক্টোবর, মারা গিয়েছেন ১৯৬৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। পুরো নাম জোসেফ ফ্রাঙ্ক বাস্টার কিটেন। তিনি মাকিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা ও চলচ্চিত্র নিমাতা। তিনি তার নিবাক ছবিগুলোর সবচেয়ে পরিচিত। আধুনিক চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ও সিনেমার ভুবনে ‘দি গ্রেট স্টোন ফেস’ নামে খ্যাত। ১৯২০ থেকে ১৯২৯ সাল পযন্ত কোনো বাধার মুখে না পড়ে তিনি কাজ করে যেতে পেরেছেন, এই নয়টি বছরই তাকে ‘সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিনেতা-পরিচালকে পরিণত করেছে’।
তাকে হলিউড সবসময় ‘নিবাক তারকা’ হিসেবে সম্মান জানিয়ে আসছে। তিনি প্রবলভাবে প্রশংসিত নিবাক ছবি-‘শালক জুনিয়র’, ‘দি জেনারেল’ ও ‘দি ক্যামেরাম্যান’ ছবির জন্য।
তিনি শারিরীক কৌতুক, ধারাবাহিকভাবে নিবিকার, ভাবলেশহীন অভিব্যক্তিগুলোর মাধ্যমে কমেডিতে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এজন্যই তিনি অজন করেছেন ‘দি গ্রেট স্টোন ফেস’ বা পাথরের মহান মুখটি নামের অভিনেতার সম্মান।
তাকে নিয়ে ছবি বানাতে যাওয়া ম্যানগোন্ড সমালোচকদের কাছে বিখ্যাত ‘গাল’, ‘ইন্টারাপটেড’, ‘ওয়াক দি লাইন’, ‘৩.১০ টু ইউমা’, ‘লোগান’ ও ‘ফোড ভাসেস ফেরারি’ ছবিগুলোর জন্য।
এখন তিনি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ সিরিজের পঞ্চম ছবিটি নিয়ে কাজ করছেন। বিশ্বখ্যাত এই সিরিজ ছবিতে এবার তার নায়ক বিখ্যাত হ্যারিসন ফোড। আরো আছেন ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ ও মাডস মিকেলসেন।
ওএস।
