চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ১৮ সংগঠনের বৈঠক, জায়েদ খান কোনো ইস্যু নন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার পারদ এফডিসি ছাড়িয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নির্ধারণ করে দেবেন আদালত।
এদিকে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এফডিসিতে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জরুরি বৈঠকে বসেন দুপুর ৩টার পর। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল জায়েদ খান ও এফডিসির এমডিকে নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে।
তবে বৈঠক শেষে শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক জানান, এসব বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি৷ কোনো ইস্যু নন তারা। আলোচনা হয়েছে চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নের নানা বিষয় নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের মুখপাত্র আলমগীর স্যার। চলচ্চিত্রের প্রযোজক কীভাবে বাড়ানো যায়, সিনেমার মান উন্নয়ন করা যায় এসব আলোচনা হয়েছে। তিনি যে মুভমেন্টটা করছেন সেটাকে শক্তিশালী করতে শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে সঙ্গে নিয়েছেন৷
এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে আলোচনা করা হয়েছে। দেশের মানুষ শিল্পীদের যে সম্মানের চোখে দেখে সেটা ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন আজ আছে কাল থাকবে না। কিন্তু কোনো ইমেজ সংকট যেন না আসে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ নায়ক আরও বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটা এখন আদালতের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিতে হবে। এ নিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না। তবে যেহেতু আমার নিজের একটা কেবিনেট আছে, আমার লিডার নিপুণ আপা সেখানে আছেন এবং আপিল বোর্ড আমাদেদ কর্তৃপক্ষ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে উনাকে বিজয়ী করা হয়েছে তাই তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।’
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে যদি সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমনকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব নিতে হয়ে তবে কি করবেন? জবাবে সাইমন বলেন, ‘সংগঠনের গঠন্তন্ত্রে এ নিয়ম আছে। তবে আমরা নিপুণ আপাকেই চাই। এর বাইরে কিছু হলে পরেরটা পরেই দেখা যাবে।’
এএম/এমএমএ/