টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত। ছবি: সংগৃহীত
টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাদিনী লায়লা অভিযোগ করেন, টিকটকার প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। মামুন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং এক পর্যায়ে তার বাসায় থাকতে শুরু করেন। লায়লা তাকে নিজের ফ্ল্যাটে থাকার অনুমতি দেন, যেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন।
লায়লা অভিযোগ করেন, মামুন তাকে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেন। এছাড়াও মামুন তার এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন নথিতে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় ওঠেন। এরপর থেকে তিনি একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লায়লাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ১৪ মার্চ ধর্ষণের পর বিয়ের কথা তুললে মামুন উত্তেজিত হয়ে তাকে গালাগাল করেন।
গত ৯ জুন লায়লা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ১১ জুন আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে, গত ১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্ত হন।
তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে প্রিন্স মামুন বাদিনী লায়লাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এই মামলার বিচার কার্যক্রম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে জানা গেছে।