গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। অসুস্থ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিষয়টি অনুভব করতে পারেননি তিনি। পরে পরিস্থিতি গুরুতর হতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এ অভিনেত্রীকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকেই সমস্যা হয়েছে শ্রীময়ীর। তীব্র গরমের মধ্যে গত শনিবার সারাদিন শুটিং করেছেন। দিন শেষে বাড়ি ফেরার পরই দুর্বল হয়ে পড়ে তার শরীর।
এ অভিনেত্রী তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন, সারারাত বমি হয়েছে। ওআরএস খেয়েছিলেন। এরপরও পরিস্থিতি একই ছিল। পেটেও যন্ত্রণা হচ্ছিল তার। তবে সবশেষ ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো।
এদিকে স্ত্রী শ্রীময়ীর এ অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে স্ত্রীর পাশেই থাকছেন এ টালি তারকা।
কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবরণের পাশাপাশি এ ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়েও নিজেদের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
কক্সবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে সমিতিপাড়ার কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একজন স্থানীয় লোকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।
আইএসপিআর আরও জানায়, ওই সময় সমিতি পাড়ার আনুমানিক দুই শতাধিকেরও বেশি স্থানীয় লোকজন ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়লে চেকপোস্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য ও সমিতি পাড়ার কতিপয় দুষ্কৃতকারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে কতিপয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন, যার মধ্যে বিমান বাহিনীর ৪ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া শিহাব কবির নাহিদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আইএসপিআরের দাবি, বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ওপর কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, কুচক্রি মহল বিমান বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, তবে তিনি তাতে রাজি। একই সঙ্গে, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিনিময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়তে তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।
সিএনএন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আমার পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত।”
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি করা সম্ভব নয়।
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং নির্বাচনের বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
এ বিষয়ে পাল্টা মন্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্প “ভুয়া তথ্যের রাজ্যে বাস করছেন।”
দেশব্যাপী নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়’, ‘আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রং তামাশা’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে এহেন কোন কাজ নেই, যা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মত অযোগ্য উপদেষ্ঠা এ দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।’
ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত ছিল বলেই চব্বিশের অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দ্বায়িত্ব পালন করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন।’
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতজানু নীতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে এই নতজানু নীতি এদেশে আর চালাবেন না। এই দেশ নতুন করে যেমন বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বিপ্লবী গতিতেই চলবে। ২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলায় আর কারও ঠিকাদারি আমরা মেনে নিব না।’