সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভিডিওতে হাজির হয়ে ফারজানা মুন্নীর ‘মেসেজ’ দেখালেন অপু বিশ্বাস

ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিন আগেই ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নীর একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়।

এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারজানা মুন্নী জানান, অপু বিশ্বাস তার অনুমতি না নিয়েই কলটি রেকর্ড করেছেন। শুধু তাই নয় মুন্নীর দাবি, অপু বিশ্বাস উদ্দেশ্যপ্রোণিতভাবে কল রেকর্ডটি ফাঁস করেছেন।

 

গণমাধ্যমে দেওয়া ফারজানা মুম্নীর এমন বক্তব্যের পরেই এবার এক ভিডিওবার্তায় কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রীর সঙ্গে সেদিনের ফোনালাপ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। রোববার ভোরে নিজের ফেসবুক পেজে ২৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এই নায়িকা।

যেখানে তিনি ফারজানা মুন্নীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের চিত্র তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘ভাবি (ফারজানা মুন্নী) দাবি করেছেন, আমি তাকে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়েছি সে উত্তর দিয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে সে এ বিষয়ে শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলো কেন? আমার থেকে শাকিবের নম্বর সংগ্রহ করল কেন?’

 

ছবি: সংগৃহীত

ভিডিওর শুরুতেই অপু বলেন, আমি অত্যন্ত পছন্দ করি মুন্নী ভাবি ও তাপস ভাইয়াকে। আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনও তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। এমনকি গানবাংলা চ্যানেলটি কোথায় অবস্থিত সেটাও আমি চিনি না। তাদের সঙ্গে কথা হয়নি বা কাজ হয়নি। তবে হাতিরঝিল প্রাঙ্গণে অনেক বড় করে তারা একটি প্রোগ্রাম করেছিল। আমি যদি ভুল না করে থাকি, সেখানে বাংলাদেশের প্রত্যেক আর্টিস্ট পারফর্ম করেছে। খুবই ভালো কথা। কারণ, একজন আর্টিস্টের জন্য গানবাংলা উঁচু একটি প্ল্যাটফর্ম। আমার হয়ত কখনও সুযোগ হয়নি অথবা সুযোগের জায়গাটা খুঁজতে যাইনি যে, আমার গানবাংলার কাজ করা উচিত ছিল।

ফারজানা মুন্নীর সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একমাস আগে আপনারা দেখেছিলেন যে, মুন্নী ভাবি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যার নামটা বলতে আমার ঘৃণা লাগে, কিন্তু নাম কিছু কিছু জায়গায় উল্লেখ না করলে বুঝতে অসুবিধা হয়। আজকে শুধুমাত্র আপনাদের ক্লিয়ার করার জন্য নামটা বলতে হচ্ছে। সেটি হচ্ছে বুবলী।

 

ছবি: সংগৃহীত

যোগ করে অপু বিশ্বাস বলেন, বুবলীর একটি কথা নিয়ে মুন্নী ভাবি স্ট্যাটাস দিয়েছিল এরকমভাবে যে, বুবলী অ্যান্ড তাপস হ্যাভিং রিলেশনশীপ। অপু বিশ্বাসের লাইফে যেভাবে ঝামেলা করেছে এবং যেভাবে বুবলী বাচ্চা পেটে নিয়েছে; সে মুন্নী ভাবি ও তাপস ভাইয়ার মাঝে এ রকমই একটি সম্পর্ক তৈরি করতে যাচ্ছে। সেটা (ফেসবুক স্ট্যাটাস) ছিল ১৩-১৫ মিনিটের মতো। তারপর স্ট্যাটাসটি উধাও হয়ে যায়। উধাও হওয়ার পর একটা গ্রুপ বলে যে, আমি হ্যাক করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু মুন্নী ভাবির সঙ্গে কখনও কথাই বলিনি। এমনকি তার নম্বরও জানি না। তাহলে রাত ৩টায় যখন তিনি স্ট্যাটাসটা দিলেন, আমি তো ওনাকে বলিনি যে, বুবলীর সঙ্গে তাপস ভাইয়ার সম্পর্কের মধ্যে আমার নাম ধরে স্ট্যাটাসটা দিতে। আমি কি বলেছি যে, অপু বিশ্বাসের লাইফটা নষ্ট করেছিল বুবলী। আমি তো তাকে বলিনি। তাহলে কেন ওই সময় আমার নামটা উল্লেখ করে লিখলেন!

মুন্নীর সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে অপু বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার একটি পর্যায়ে তাকে বললাম, মুন্নী ভাবির নম্বরটা কি আমাকে দিতে পারবে? কারণ, আমি আসলে কিছু ফোনকল বুঝতে পারছিলাম। মুন্নী ভাবির সঙ্গে আমার সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি। কিন্তু তিনি যে পাওয়ারফুল পারসোনালিটি, আমি সত্যিই পছন্দ করি। দেখুন বেলা শেষে, প্রত্যেকটা মেয়েই তার স্বামীকে ভালোবাসে। আজকের ভিডিওর মাধ্যমে মুন্নী ভাবিকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই, কারণ তিনি ফার্স্ট প্রায়োরিটি ফ্যামিলিকে দিয়েছেন। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন, তা নিয়ে আমার কষ্ট বা মন খারাপ নেই। অবশ্যই প্রত্যেকটা মানুষ তার সংসার বাঁচাতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এই যে তার (ফারজানা মুন্নী) সংসারে টানাপোড়েন, সেই একই তৃতীয় পক্ষ। যে তৃতীয় পক্ষ আমার সংসারটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরি টু সে ভাবি; আপনি যেমন একটি ইনফরমেশন দিয়েছেন যে, একটি ফোন এসেছে রাত ৩টায়। সেখানে অপু বিশ্বাস লেখা। কাইন্ড ইওর ইনফরমেশন, ট্রু-কলারে যে নামটা দিয়ে রেজিস্ট্রার করা হয়, সে নামটা ভেসে আসে। আমার নম্বরটি থেকে যদি আপনার নম্বরে কল যায়, তাহলে ওখানে নাম উঠবে আব্রাম খান। কারণ, আমার ওইভাবে রেজিস্ট্রি করা। মুন্নী ভাবি আমাকে প্রথমে ফোন করেছিল মোবাইল ফোনে। তখন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করতে বলি। কারণ, বিষয়টি সেনসেটিভ। আমার সঙ্গে কিন্তু ওনার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে মুন্নী জানিয়েছিলেন, তিনি কেবল অপুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলো বলেছেন, যে কল রেকর্ড পরে ফাঁস হয়। এ প্রসঙ্গে অপু বলেন, উনি (ফারজানা মুন্নী) এতটা ডিস্টার্ব ছিল যে, আমার কোনো কথাই বলতে হয়নি। নিজেই বলছিল। তিনি আমাকে বলেছেন ‘আমি আর এই সংসারে থাকব না’। আমি তখন তাকে বলেছি, ভাবি আপনি আমাকে অপু ডেকেছেন না! আমাকে আদর করেছেন না! ওই মহিলার (বুবলী) ইনটেনশন হচ্ছে, প্রতিটা সংসার ভাঙানো। শাকিব অত্যন্ত সরল-সোজা একজন মানুষ। সেই সরল-সোজা মানুষকে যা-তা করে ইউজ করতে পেরেছে সাইনবোর্ডের মতো। আমি আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হতে দেব না। দরকার হলে বলেন, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলব। আপনি ভাইয়াকে ছেড়ে যাবেন, এটা স্বপ্নে চিন্তা করবেন না। আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে এখনই ফোনটা কেটে দেব। আমি যখন তাকে বললাম, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলি। তখন ভাবি বলল, অপু তোমাকে সে তার কাছে এতটা খারাপ বানিয়েছে যে, তুমি কীভাবে কথা বলবা। সেই স্পেসটাই তো রাখেনি। আমার বাচ্চাকে নিয়ে সে (বুবলী) বাজে মন্তব্য করেছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ভাবি (ফারজানা মুন্নী) বলছিল, আমি তাকে প্রশ্ন করছিলাম। সে উত্তর দিচ্ছিল। ভাবি আপনি স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ। আমি এখনও আপনাকে রেসপেক্ট করি। তাহলে অযথা কেন আমার মতো নির্দোষ মেয়ের সম্মানহানি করবেন!

ফারজানা মুন্নির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান-প্রদানের চিত্র দেখিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে অপু বলেন, ভাবি তো শুধু আমাকে না। তিনি শাকিবকে ফোন করছিলেন। শাকিব ফোন ধরছিল না। তখন ভাবি আমাকে বলছিল, শাকিব আমার নম্বর ধরছে না। তখন তাকে বারবার শাকিবের নম্বর মিলিয়ে দিয়েছি। শাকিবকে মেসেজ পাঠিয়েছি তার সঙ্গে কথা বলার জন্য।

Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় টিআর কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চেক বিতরণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। 

চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বাংলদেশকে প্রতি মুহূর্তে উন্নয়নের চূড়ায় পৌঁছানোর পিছনে কাজ করে চলেছে এবং তা সফলের পথে। বর্তমান দেশে শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্র আলোকিত করাতে এ সরকার সক্ষম হয়েছে, অন্যরা তা কোনো দিনই করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, কোনো কুচক্রিমহল আওয়ামী লীগ সরকারকে দমাতে পারবে না। দেশের মানুষ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকার চায় না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল দিক খেয়াল করেন। তিনি মানুষের কথা ভেবেই রাত দিন কাটান। তার প্রতিটি চিন্তা এ দেশের মানুেষের জন্য। আজ দেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে আছে। আজ গ্রামেগঞ্জে পাকা রাস্তা হয়েছে। মানুষের জীবনমান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আমার চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রায় সব জায়গায় পাকা রাস্তা হয়েছে। দু এক জায়গায় বাকি আছে, তাও কাজ চলছে। দ্রুতই তা শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা খাতুন প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপকারভোগী সংগঠনের প্রতিনিধি বেগমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সমবায় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রান ও পুনবার্সন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

 অনুষ্ঠানে ৩১টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৫৫ হাজার, ৬০ হাজার ও ১ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

নওগাঁয় ভটভটি উলটে প্রাণ গেল দুই গরু ব্যবসায়ীর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভটভটি উলটে দুই গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চালকসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিয়ামপুর-টিএলবি সড়কের সাংশইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দামকুড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিন (৬২) ও বনগাঁ গ্রামের শামীম রেজা (২৮)। নিহত ওই দুই ব্যক্তি গরু ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন ও শামীম গরু কেনার জন্য আজ দুপুরে ভটভটিতে করে উপজেলার ছাতড়া বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে নিয়ামতপুর -টিএলবি সড়কের সাংশইল মোড় এলাকায় বাঁক ঘুরার সময় ভটভটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উলটে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন ও শামীম রেজা গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে আহত দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, সড়কের বাঁক ঘুরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটি উলটে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রমত্তা যমুনা নদীর পানি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। ধূ-ধূ বালু চরে এখন যে দিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে পুরো চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পানিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পোকা-মাকড়ের আতঙ্কে নিঘুম রাত্রীযাপন করছেন বানভাসি লোকজন।

সরেজমিনে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর, রুলীপাড়া, চন্ডিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা ও ফজলের হাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো চরাঞ্চল পানিতে ভরপুর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের অনেকে নৌকায় বা স্বজনদের বাড়ি ও উঁচু জায়গা আশ্রয় নিয়েছেন।

গাবসারার কালিপুর গ্রামের সবুর আলী জানান- ‘৩/৪ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। ১২ জনের পরিবার, শিশু সন্তান ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। চরে সব জায়গায় পানি আর পানি। এছাড়া কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে খাবারও নেই, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি’।

একই গ্রামের আছর উদ্দিন, শফিকুল ইসলামসহ অনেকে বলেন- ‘বাড়িতে পানি, যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। নৌকাতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন পানিতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, কয়েকদনি ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি’।

এদিকে, রবিবার বিকালে উপজেলার অর্জুনা পরিষদ মাঠে বন্যা কবলিত অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন। এতে অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন- ‘বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও পানিবন্দিদের তালিকা সম্পন্ন। অতিদ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং ভাঙন কবলিত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

ক্যাপশন: পানিতে তলিয়ে গেছে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি। দুর্ভোগ পড়েছেন বানভাসি মানুষ। ছবিটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের কোনাবাড়ী চর এলাকা থেকে তোলা।

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় টিআর কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চেক বিতরণ
নওগাঁয় ভটভটি উলটে প্রাণ গেল দুই গরু ব্যবসায়ীর
পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ
র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি
কোটার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
নিরাপত্তায় গানম্যান পেলেন ব্যারিস্টার সুমন
রথযাত্রায় আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজ বাড়ির সামনে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা!
ডিএনএ নমুনা দিতে কলকাতায় যাচ্ছেন ডরিন
হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের
আজকের এই দিনেই ৭ গোল খেয়েছিল ব্রাজিল
সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোনে আসক্ত এই ১০ দেশের মানুষ
কোটা বাতিলের দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক: ওবায়দুল কাদের
চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ফাঁস, বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে কোথায়
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস