সংসার ভাঙল অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী টোনি কলেটের
বিয়ের ২০ বছর পর আলাদা হয়ে যাচ্ছেন টোনি কলেট ও তার স্বামী ডেভ গালাপাসি। একটি গোল্ডেন গ্লোব ও একটি প্রাইম টাইম অ্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় করা এই অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী তার দ্য স্টোঅ্যাওয়ে সিনেমাটির জন্য দারুণ বিখ্যাত।
গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ৫০ বছরের অভিনেত্রী তার ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৪৪ বছরের ডেভ গালাপাসির সঙ্গে তার বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন।
তিনি নিজের এবং ডেভ গালাপাসির পক্ষে একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন, অনুগ্রহ ও কৃতজ্ঞতায় জানাচ্ছি যে, আমাদের বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। ঐক্যমতের মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি এবং একে অন্যকে সম্মান করার মাধ্যমে এগিয়ে যাব।’
এই বিবৃতিতে তিনি একটি ফুলের ছবি দিয়েছেন। সেখানে লেখা আছে শান্তি ও ভালোবাসা।
তারা আরও জানিয়েছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা-১৪ বছরের মেয়ে সেজ ফ্লরেন্স এবং ১১ বছরের ছেলে আরলো রবার্ট তাদের সম্পত্তি ও সম্পদ হিসেবে থাকবেন। ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের গুরুত্ব আমাদের কাছে প্রাধান্য পাবে এবং আমরা একটি পরিবার হিসেবে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাব। একটি ভিন্ন রকমের পরিবারের অধিকারী হব।’
তারা কৃতজ্ঞতা নোটে লিখে, শেষে বলেছেন, ‘আমরা এই আকার প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞ এবং এই উত্তেজনাকে শান্তির দিকে নিয়ে যাবার সময় ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’
এই ঘোষণা পোস্ট দেবার আগে, টোনি কলেট তার ইনস্ট্রাগ্রাম স্টোরিতে আরও একটি লেখা দিয়েছেন, ‘আমার বর্তমান অবস্থা কেমন সেটি কোনো বিষয় না, যদি আপনি আপনার জন্য আরও ভালো কিছু কল্পনা করতে পারেন, সেটি আপনি তৈরি করতে পারেন।’
তার বার্তাগুলো এসেছে যেহেতু তার স্বামী গালাপাসি এবং আরেকজন মহিলা একে অন্যকে চুমো খাচ্ছেন একটি সাগর সৈকতে-এই ছবিগুলো প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরদিন তিনি তার ওপরের লেখাটি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এই কাণ্ড করেছেন গালাপাসি। ডেইলি মেইল ছবিগুলো প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোর মধ্যে আরও আছে তার গায়ক স্বামী ও মহিলাটি একত্রে বসে আছেন, পানিতে হাত নামিয়ে ধরে আছেন এবং কয়েকবার চুমো খাচ্ছেন।
এরপর পিপলের এই বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধে সাড়া দেননি টোনি কলেট। আর গালাপাসির বক্তব্যের জন্য সাংবাদিক গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
বৌদ্ধরীতিতে একটি বিহারে তারা ২০০৩ সালে বিয়ে করেছেন। তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছে ২০০৮ সালের জানুয়ারি। তখন এপিকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাঁদের ওপর উড়ছি। আরও একটি আশ্চর্য বিষয় হলো শেষ তিনটি ছবি আমি গর্ভবতী অবস্থায় সম্পন্ন করেছি।’ এরপর ২০১১ সালের এপ্রিলে তাদের ছেলের জন্ম হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে।
ওএফএস/