তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে ইউনেস্কো-সিসিমপুর
শিশুদের কাছে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেস্কো এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তথা সিসিমপুর।
নতুন এই উদ্যোগের আওতায় তথ্য এবং বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের কাছে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে আরও বেশি পরিচিত করতে কাজ করবে সিসিমপুর।
শিশুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে দিয়ে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের ওপর তৈরি করা হবে এডুটেইনমেন্ট ভিডিও। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে কিছু অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমও।
এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ইউনেস্কো-এর ঢাকা কার্যালয়ে ইউনেস্কো এবং সিসিমপুরের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউনেস্কো বাংলাদেশের অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং সিসিমপুরের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ইউনেস্কো-সিসিমপুর নতুন এই উদ্যোগ সম্পর্কে ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান সুজান ভাইজ বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের ৫০তম বার্ষিকীতে সিসিমপুরের সঙ্গে এই যৌথ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে হালুম, টুকটুকি, ইকরি এবং শিকুর সঙ্গে আমাদের একটি বর্ণিল এবং ফলপ্রসু যাত্রার সূচনা হলো। আমি বিশ্বাস করি এই কার্যক্রম বাংলাদেশের শিশুদের কাছে দেশটির তিন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানকে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলবে।
সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ইউনেস্কোর এই বিশ্ব ঐতিহ্য আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু শুধু শিশুরাই নয় আমাদের দেশের এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই ঠিকঠাক জানি না। অথ এই বিষয়ে সবারই জানা দরকার। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিশু এবং নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে ইউনেস্কোর তিন বিশ^ ঐতিহ্যকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে চাই।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এবং ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়।
এএম/এমএমএ/