আগাথা ক্রিস্টির স্বামীর উপ-পত্নীর চরিত্রে ডেইজি রিডলি
ডেইজি রিডলি একটি নতুন সিরিজে আগাথা ক্রিস্টির স্বামীর উপ-পত্নীর চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম!
বিশ্বখ্যাত এই গোয়েন্দা কাহিনির লেখিকার জীবনের সত্যিকারের অন্ধকার দিককে ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। আগাথা ক্রিস্টির জীবনের ওপর ভিত্তি করে লেখা ‘দ্য ক্রিস্টি অ্যাফেয়ার’র রূপদান করবেন তারা। রিডলি সবচেয়ে পরিচিত স্টার ওয়ারস ট্রিলজিগুলোর জন্য।
তিনি ২০১৫ সালে ‘স্টার ওয়ারস অ্যাপিসোড সেভেন: দ্য ফোস অ্যাওকেনস’র মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছিলেন এখানে।
এর বাইরে তার বিখ্যাত ছবিটি হলো ক্রিস্টিকে নিয়ে আরেকটি কাজ। সেটি ২০১৭ সালের, পরিচালনা করেছিলেন কেনেথ ব্রানা। নাম ‘মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’। সিনেমাটি আগাথা ক্রিস্টির একটি উপন্যাস থেকে বানানো হয়েছে।
দ্য ক্রিস্টি অ্যাফেয়ার ছবিতে গল্পটি অনুসরণ করবে আরও আগাথা ক্রিস্টি যখন হারিয়ে গিয়েছিলেন তখন আসলে কী হয়েছিল বা ঘটতে পারত। তিনি সত্যি, সতিই একবার হারিয়ে গিয়েছেন।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১১ দিন বিখ্যাত এই লেখিকার কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি। নতুন এই সিরিজের চিত্রনাট্য লিখছেন জুলিয়েট তৌহিদী। রিডলির চরিত্রটির নাম হলো নান ও’ডি।
তিনি ফুটিয়ে তুলবেন আগাস্টা ক্রিস্টির স্মামীর উপপত্নী ও দ্বিতীয় স্ত্রী ন্যান্সি নীলের আসল চরিত্রটি। আগাথা ক্রিস্টির ম্বামীর নাম ছিল আর্চারবোল্ড ক্রিস্টি। তাকে আর্চি নামে ডাকতেন ক্রিস্টি।
এই সিরিজটি হবে ১৯২৬ সালের গল্প। সে বছরই বেরিয়েছে আগাথার ‘দ্য মাডার অব রজার অ্যাকরয়েড’। তার অন্যতম স্মরণীয় বই।
এই সিরিজে আগাথার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর আয়ারল্যান্ডের যৌবন, তার প্রেমের শুরু ও অমীমাংসিত দাম্পত্য কাহিনির গল্প থাকবে। আগাথার জীবনের এই কাহিনিটি সামনে এসেছে যখন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর আগাথা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন। তার সঙ্গে একটি অ্যাটাচ কেস ছিল। তিনি মোট ১১ দিন বাড়িতে আসেননি। তার গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তার পশমের কোট ভেতরে পড়ে ছিল।
তার অন্যতম ক্লাসিক উপন্যাস ‘অ্যান দেন দেওয়ার ওয়ার নান অ্যান্ড ডেথ অন দি নীল’-এ এই গল্পের সামান্য আভাস আছে। পরে আগাথাকে পাওয়া গিয়েছে সোয়ান হাইড্রোগ্রাফিক হোটেলে। তিনি নিরাপদ ও পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। এরপর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন।
এই হোটেলে তিনি ৬০টির বেশি উপন্যাস লিখেছেন। মারা গিয়েছেন আগাথা ক্রিস্টি ১৯৭৬ সালে। তার জীবনের ওই ১১ দিনে কী ঘটেছে বা ঘটতে পারত সেটি নিয়ে উপন্যাস দি ক্রিস্টি অ্যাফেয়ার।
যে সকালে তিনি চলে গিয়েছেন তার আগে তিনি খবরের কাগজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যে আর্চি বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন। এর বাইরে ১৯৭৭ সালে আগাথা ক্রিস্টির একটি আত্মজীবনী তার কলমে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে কোনোদিনও সেখানেও নয়, কোনোখানেই নয়, আগাথা তার জীবনের সেই ১১ দিনের কাহিনি বলেননি। এই আইকনিক লেখিকার চরিত্রটি কে করবেন সেটি এখনো জানানো হয়নি। তারপরও রিডলির স্টার ওয়ারসের বাইরে এটিই সেরা প্রকল্প হতে যাচ্ছে।
ওএফএস/এমএমএ/