দিলারা জামানের জন্মদিন আজ
খ্যাতিমান অভিনেত্রী দিলারা জামান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার অর্জনের শেষ নেই। একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এ অভিনেত্রী।
আজ ১৯ জুন দিলারা জামানের জন্মদিন। ১৯৪৩ সালের ১৯ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ৮০ বছর পূর্ণ করে ৮১ তে পা রাখলেন তিনি। ৮০ বছর পূর্তিতে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই পারিবারিকভাবে। তবে নিজের জন্মদিনে মন খারাপ হয়ে আছে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যায় লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগের কথা করে।
দীর্ঘদিন দিলারা জামান মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এখনো টিভি নাটকে ও সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। তবে তিনি যখন অভিনয় শুরু করেন তখন বাঙালি মধ্যবিত্তের সমাজ ছিল অত্যন্ত রক্ষণশীল। প্রতিকূলতার সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন তিনি।
শিক্ষা জীবনে তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পড়াশুনার পাঠ শেষ করে অভিনয়ের পাশাপাশি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন দিলারা জামান। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। মুরাদ পারভেজ পরিচালিত ‘চন্দ্রগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৫৭ সালে স্কুলে তিনি প্রথম নাটক করেন মঞ্চে। শরৎচন্দ্রের ‘মামলার ফল’। ১৯৬৩ সালে তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তখন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে একাঙ্কিকায় অভিনয় করেন। একই বছরে আমি আলাউদ্দীন আল আজাদ রচিত ডাকসু’র নাটক ‘মায়াবি প্রহর’-এ অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে প্রথম নাজমুল আলমের রচনায় ও আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় রেডিওতে প্রথম নাটক করেন।
টেলিভিশনে তিনি প্রথম নাটক করেন ১৯৬৭ সালে খান জয়নুলের লেখা ‘পিনিস’ নাটকে। পরিচালক ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। হুমায়ূন আহমেদ’র পরিচালনায় প্রথম ১৯৮৪ সালে ‘দিনের শেষে’ নাটকে অভিনয় করেন। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’ নাটকেও অভিনয় করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘আগুনের পরশমনি’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘মনপুরা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘অপেক্ষা’, ‘আলতাবানু’, ‘গুনিন’, ‘পোস্টমাস্টার ৭১’।
মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘দায়মুক্তি’, ‘শেখ রাসেল’, বায়েপিক-মুজিব।
জন্মদিন প্রসঙ্গে দিলারা জামান বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো উচ্ছ্বাস নেই। তবে এতো বছর পেরিয়েও আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি, ভালো আছি—এটাই আসলে অনেক ভালোলাগার। কোটি কোটি মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি আমি—এটাই আসলে সত্যিকারের অর্জন। ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই আমি।’
এএম/আরএ/