লাইভে এসে ওমর সানীর বিস্ফোরক মন্তব্য
সানী-জায়েদের দ্বন্দ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যেই জ্বলন্ত আগুণে ঘি ঢেলে দিয়েছেন মৌসুমী। গণমাধ্যমে মৌসুমীর বক্তব্য প্রকাশের পর থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে মৌসুমী তার বক্তব্যে ওমর সানীকে ভাই বলে সম্বোধন করায় ব্যাপক ট্রল হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে।
এবার লাইভে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ওমর সানী। আপনারা দেখতেই পারছেন একটা বিশেষ কারণে আমি লাইভে আসছি। আমার ৩১/৩২ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ার। সোমবার (১৩ জুন) পর্যন্ত কেউ কোনো কারণে আঙুল দিতে পারবে না। বিশেষ করে আমার স্ত্রীকে আমি বিয়ে করেছি ২৭ বছর। আমার ফুটফুটে দুটি ছেলে মেয়ে আছে। আমার ফারদিন, আমার ফাইজা। আমার ছেলে আলহামদুল্লিাহ বিয়েও করেছে। আমার বোন, ভাই, ভাগ্নি সবাই আছে। আমি গতকাল একটি অ্যাপ্লাই করেছিলাম শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। আমি এখনো কিন্তু সেটাতে অটল। আমি লাইভে কেন আসলাম এটা আপনাদেরকে পরিস্কার করে দেই। আমার চাওয়া পাওয়া বাংলা চলচ্চিত্রে কিছু নাই। হিট, সুপারহিট, বাম্পারহিট এসব আল্লাহ আমাকে দিয়েছে।’
লাইভে সানী আরও বলেন, ‘আমি অনেক ফোন পাচ্ছি। আমি ন্যাচারালি অসুস্থতা ফিল করছি। আমি তার বিষয়ে যেসব কথা বলছিলাম এগুলো সবই সত্য কথা। বিশেষ করে তার গাড়ির বিষয়ে আমার এবং আমার ছেলে ফারদিনের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আর মৌসুমীর সম্পর্কে যদি বলি- সে আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানের মা। সে একজন গর্জিয়াস মা। আমি তাকে অসম্মান করে একটি কথাও বলব না। কি ভেবে সে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে জানি না। উনার সম্পর্কে বাংলা চলচ্চিত্র জানে, বর্তমান কেবিনেট, প্রযোজক পরিচালক সমিতির কেবিনেট জানে দর্শকও জানে। আমাকে যারা দেখছেন তাদেরকে আমার গার্ডিয়ান আমার ফাইজা ও ফারদিন পরিস্কার করবে আমার ভাষ্যটুকু। আমি আমার গার্ডিান হিসেবে আমার ছেলে ফারদিনকে আমি মেনে নিলাম। আমার ফ্যামিলির ইজ্জত মানেই আমার ইজ্জত। স্ত্রীর ইজ্জত মানেই আমার ইজ্জত। ছেলে মেয়ের ইজ্জত মানেই আমার ইজ্জত। আমি চাইনা এই ২৭ বছরে এসে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি ফ্যামিলির মধ্যে হোক। কিন্তু বাইরের মানুষ এসে যেভাবে ভাঙার চেষ্টা করছেন। আপনারা নিজেরাই জানেন সে কে। আমি তার সম্পর্কে আর কিছুই বলব না। কেউ মৌসুমীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না এটাই অনুরোধ। আপনারা বুঝে গেছেন জায়েদ খান কী? খারাপ মানুষের সঙ্গে আমি নাই। আমি পরিবারের সঙ্গেই আমি থাকতে চাই।’
এএম/এমএমএ/