মমিতে কাদের সঙ্গে অন্যদিন? বাংলাদেশে কবে?

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রদেশ থেকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে চরম অন্যায় ও অবিচারের শিকার, শোষিত বাঙালি মক্তির জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। এই মাসেই নিউ ইয়র্কের ‘মিউজিয়াম অব দি মুভিং ইমেজ’ বা মমির ফার্স্ট লুক নামের প্রথম শুরু হওয়া অন্যধারার ছবিগুলোর উৎসব হয়। তাতে ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী ছবি হিসেবে দেখানো হবে আমাদের ‘অন্যদিন।’ ফার্স্ট লুকের ছবিগুলোকে চলচ্চিত্রবোদ্ধারা বলেন, ‘আর্টিস্টিক মাস্টারপিস’। মমি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘বেশ ক বছর ধরে ধারাবাহিক দু:সাহস, অত্যাশিত, বুদ্ধিদীপ্ত ও গতিশীল ছবি নন-ফিকশন ধারায় তৈরি হয়েছে।’ আরো বলেছে, ‘সময়টি এখন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবার মতো আর্টিস্টিক মাস্টারপিসের। জমাট বুননে তৈরি এই ছবিগুলোকে প্রথম দেখায় অসংলগ্ন মনে হলেও শেষে ডকুমেন্টারি ভাবলে ভুল হবে।’
এখানে কোনো প্রতিযোগিতা হয় না কোনো ছবির। আয়োজকরা সারাবিশ্ব ঘুরে মোটে ১৮টি ফিচার ফিল্ম দেখান।
প্রথম ছবি হবে এবার কানের ক্যামেরা দ্য’ জয়ী মুরিনা আর শেষটি লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সেরা ছবি ‘ব্যালকনি’।
‘বাবই ইয়ার কনটেক্সস্ট’ কানের বিশেষ পুরস্কার লাভ করেছে।
‘ফেদার’ এই সিনেমা প্রতিযোগিতার ক্রিটিকটস উইক বা সমালোচকদের সপ্তাহে সেরা পুরস্কার লাভ করেছে।
‘পেত্রভস ফ্লু’র কথাও বলতে হবে কেননা কানের পাম দ্য’র অংশগ্রহণকারী ও সেরা সিনেমাটোগ্রাফি হিসেবে পুরস্কার জয়ী।
ইউফা (ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টাররি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আমসটারডাম)’র সেরা ছবি আছে এখানে ‘মি. ল্যান্ডবার্গিস।
এই তালিকাটিই চমকে দেবার মতো।
তাতে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ছবি হলো সাইমনের ‘অন্যদিন’।
ছবিতে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর থিয়েটার বা সিনেমাহল আমসটারডামের তুসানন্সকিতে আয়োজকদের সঙ্গে সাইমন আছেন। ইডফার মূল প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক আসরে অন্যদিন বিশ্বজুড়ে দেখানোর আগে তোলা।
বাংলাদেশে দেখানোর জন্য অল্প কদিনের মধ্যে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্যদিনের প্রযোজক সারা আফরিন।
ওএস।
