বিচ্ছেদের পাঁচ বছর পর জোড় বেঁধেছেন বেন ও ক্রিস্টিন

হলিউডের অভিনেতা বেন স্টিলার ও অভিনেত্রী ক্রিস্টিন টেইলর বিবাহ বিচ্ছেদের প্রায় পাঁচ বছর পর আবার ফিরে এসেছেন।
এসকোয়ার ম্যাগাজিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে স্টিলার বলেছেন, তিনি ও টেইলর মহামারি শুরুর দিকের দিনগুলোতে একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন-তিনি যদি টেইলর ও তাদের সন্তানদের কাছে ফিরে আসেন, সেটিই সবচেয়ে উত্তম হবে। এরপর কারণটি জানিয়েছেন-লকডাউনের সময় স্ত্রীর মাধ্যমে সন্তানদের দেখার উপায়টিই ছিল তার কাছে।
তিনি বলেছেন, ‘তখন থেকে সময়ের এগিয়ে যাওয়াতে এই সিদ্ধান্তটি আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। আমরা এর আগে আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম এবং তারপর একত্র হয়েছি, এজন্য আমরা খুশি। এটি আমাদের সবার জন্য সত্যিই দারুণ বিষয়। অপ্রত্যাশিত ও মহামারির একটি ভালো বিষয় তৈরি হলো।’
৫৬ বছরের চলাচ্চিত্রাভিনেতা-নির্মাতা বেন স্টিলারের স্ত্রীর বয়স ৫০ বছর।
তাদের দুটি সন্তান আছে সংসারে। একটি মেয়ে নাম এলা অলিভিয়া, বয়স ১৯ বছর। ছেলে কুইনলিন ডেম্পসের বয়স হলো ১৬।
গেল দুই বছরে কীভাবে ‘দি ব্রেইডি বিচ’ তারকার সঙ্গে আবার সম্পর্ক কীভাবে এগুলো বলতে গিয়ে স্টিলার বলেছেন, তারা যেভাবে আলাদা হয়েছেন সেই উপায়গুলোর ওপর তার শ্রদ্ধা ছিল। মনের ভাবকে ভাষায় বলেছেন, ‘সেটি গ্রহণের পর আমার মনে হয়, আপনি কাউকে আরো বেশি প্রশংসা করতে পারেন, যেহেতু নিজেকে বদলে দেবার জন্য তাদের ধরতে পারছেন না। যখন সেটিকে গ্রহণ করবেন, বিপুল পরিমাণ শক্তি বাঁচাবেন। এই বিষয়টি আমার ক্ষেত্রে কাজ করেছে।’
বেন স্টিলার এরপর বলেছেন, ‘সঙ্গীনির সঙ্গে সেই পরিমাণ বিশ্বাসের স্তরের জোরে আমি বলতে পেরেছি, আমি ওই বিষয়টি পছন্দ করতে পারছি না। ফলে তোমাকে আমি পছন্দ করি না বলার বিষয় ঘটেনি। আমাদের সন্তানেরাও বলেছে, অন্যদের কাছে- ‘আমরা পিতা, মাতার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।’
২০১৭ সালে তাদের আলাদা হয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই তারকা জুটি। তবে তারপরও তারা একে অন্যকে সমর্থন করে গিয়েছেন, সাহায্য করেছেন। ভক্তদের সামনে তারা সামাজিক বিষয়গুলোতে সন্তানদের নিয়ে গিয়েছেন। ‘প্রিটি ওম্যান’র গানের সময় তারা একটি পর্যায়ে হাত ধরেছেন-জানিয়েছে পিপল ম্যাগাজিন।
বিখ্যাত মাকিন কৌতুকাভিনেতা স্বামী-স্ত্রী জুটি জেরি স্টিলার ও অ্যান মিনার ছেলে বেন স্টিলার। তিনি নিজেও কৌতুকাভিনতো। লিখেছেন, পরিচালনা করেছেন নয়তো প্রযোজনা করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমা। তার স্ত্রী মাসিয়া ব্রেইডি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি লাভ করেছেন ‘দি ব্রেইডি বিচ’ ছবিতে।
ওএস।
