কাওসার আহমেদ চৌধুরী আইসিইউতে, অবস্থা সংকটাপন্ন
‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ প্রভৃতি কালজয়ী গানের গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ্। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৭৫ বছর বয়স্ক এ খ্যাতিমান গীতিকবি ও জ্যোতিষীকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ছেলে প্রতীক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'বাবার অবস্থা খুব একটা ভালো না। তার রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। জরুরিভিত্তিতে দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হচ্ছে। কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সবাই দোয়া করবেন।'
প্রতীক জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি (কাওসার আহমেদ চৌধুরী) কিডনি, প্রেশার ও স্নায়ুজনিত জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া দুইবার স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন তিনি। গত বুধবার রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে ধানমন্ডি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
নন্দিত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গান গেয়েছে ব্যান্ডদল ফিডব্যাক, এলআরবি, মাইলস, লাকি আখন্দ, কুমার বিশ্বজিৎ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী মতো স্বনামধন্য শিল্পীরা। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আরও রয়েছে— ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়লো তোমায়’, ‘এক ঝাঁক প্রজাপতি ছিলাম আমরা’, ‘এলোমেলো বাতাসে’ ফিডব্যাক ব্যান্ডের ‘মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি’ ও এলআরবি'র ‘রুপালি গিটার ফেলে’ প্রভৃতি।
কাওসার আহমেদ চৌধুরী জ্যোতিষী হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। তিনি সংবাদপত্রে নিয়মিত রাশিফল লিখে থাকেন। এছাড়াও তিনি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা। বেশ কিছু টিভি নাটক রচনা ও পরিচালনা করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপন চিত্রও নির্মাণ করেছেন।
এএম/এপি/