সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশী: দাবি মুম্বাই পুলিশের
ছবিঃ সংগৃহীত
হামলার ৭০ ঘণ্টা অভিযানের পর গ্রেপ্তার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের হামলাকারী! মুম্বাই পুলিশ দাবি করছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশী নাগরিক। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করেছে ওই অভিযুক্তকে।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) সকালে সাইফের বাড়ি থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে আটক করা হয়। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর নাম বিজয় দাস বলে দাবি করেন। তিনি থানে শহরের একটি বারে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত একাধিক নাম ব্যবহার করে। তার সঠিক পরিচয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
#WATCH | Saif Ali Khan Attack case | Mumbai: DCP Zone 9 Dixit Gedam says, "There is primary evidence to anticipate that the accused is a Bangladeshi. He does not have valid Indian documents. There are some seizures that indicate that he is a Bangladeshi national...As of now, we… pic.twitter.com/aV22IhKF30
— ANI (@ANI) January 19, 2025
শনিবার রাতে থানে (পশ্চিম)র হিরানন্দানি এস্টেটে টিসিএস কল সেন্টারের পেছনে মেট্রো নির্মাণস্থলের কাছে অবস্থিত এক শ্রম শিবির থেকে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মুম্বইয়ের ডিসিপি জোন-৬ নবনাথ ধাভালের টিম ও কাসারভাদাবলী পুলিশের যৌথ অভিযানে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে শেহজাদ পুলিশকে বলেছেন, তিনি জানতেন না যে সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করা এবং সে কারণেই সে বাড়িতে ঢুকেছিল। হঠাৎ সইফ আলি খান তার সামনে হাজির হন এবং অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
জানা যাচ্ছে, এই অভিযানের ছিলেন মুম্বাই পুলিশের একজন ডিসিপি, তিনি জানান, বিজয় দাসকে একটা ঝোপের গভীরে শুকনো ঘাস ও পাতার নিচে ঘুমোতে দেখা গিয়েছিল।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে এখানে কাজ করেছিল তবে সে অবস্থান সম্পর্কে সচেতন ছিল। সে বুঝেছিল এই জায়গাটি নিরাপদ, আর তাই এখানে থেকে যায়।’
গ্রেফতারের পর বিজয় দাসকে তদন্তের জন্য মুম্বাতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হামলাকারী ঘটনার পরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালিয়ে যাচ্ছে। সাইফ থাকেন ১২তলায় আর হামলাকারীকে দেখা গিয়েছিল ষষ্ঠ তলার সিঁড়িতে। সেই ফুটেজ মিলেছিল সাইফ আলি খানের উপর হামলার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে।
ঘটনার পর শনিবার রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) ছত্তিশগড়ের দুর্গ রেলওয়ে স্টেশনে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, আটক হওয়া সেই সন্দেহভাজনের নাম ছিল আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া (৩১), মুম্বাই এলটিটি থেকে কলকাতা শালিমার জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে যাত্রা করেছিল সে।
সিসিটিভি ফুটেজে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আগে অভিনেতার বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা যায়। পরে তাকে এক ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান থেকে ইয়ারফোন কিনতেও দেখা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’ নামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকেন সাইফ আলী খান। তার সঙ্গে থাকে অভিনেতার স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর এবং তাদের দুই সন্তান। সেই বাড়িতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সাইফ। এ ঘটনায় প্রথমবার কারিনা কাপুরের টিমের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী ও তার দুই সন্তান সুরক্ষিত রয়েছেন।