শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার

রাফসান সাবাব এবং জেফার। ছবি: সংগৃহীত

মিডিয়া অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছে, জনপ্রিয় উপস্থাপক রাফসান সাবাব এবং গায়িকা জেফার নাকি লুকিয়ে প্রেম করছেন। শুধু প্রেমই নয়, তাদের গোপন বিয়ের খবরও আলোচনায় রয়েছে। রাফসানের দাম্পত্য জীবনের ভাঙনের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জেফারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সে সময় দাবি করা হয়, এই বিচ্ছেদের পেছনে নাকি জেফারের ভূমিকা রয়েছে।

সম্প্রতি, গত ১৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডে একসঙ্গে দেখা গেছে রাফসান এবং জেফারকে। ব্যাংককের সিয়াম প্যারাগন শপিং মলে বিখ্যাত পেরি পেরি ফুড শপে তাদের একান্তে সময় কাটাতে দেখা যায়। তবে এ নিয়ে দুজনের কেউই কোনো মন্তব্য করেননি বা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেফার তার এবং রাফসানের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, তাদের নিয়ে চলমান গুঞ্জন সম্পর্কে তার কিছু বলার নেই এবং কোনো বিষয় পরিষ্কার করার প্রয়োজন বোধ করেন না।

কারণ ব্যাখ্যা করে গায়িকা বলেন, বিয়ে না করলেও মানুষ ইতোমধ্যে তার ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। আমার বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে। এসব বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। তাদের যা ইচ্ছা ভাবুক।

রাফসানের সঙ্গে থাইল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়া প্রসঙ্গে জেফার বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনো কিছুই শেয়ার করতে পছন্দ করি না। তবুও আমি যেহেতু একজন পাবলিক ফিগার, তাই আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে তাদের অনেক আগ্রহ। তারা নানান কিছু ভাবছে, বিভিন্ন রকম গল্প তৈরি করছে। আমি তাদেরকে সেসব ভাবতে দিচ্ছি। আপনাদের যা ইচ্ছা ভেবে নেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবরে চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ে করেন রাফসান সাবাব। তিন বছর সংসারের পর চলতি মাসে এসে সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। কলেজে পড়ার সময় উপস্থাপনায় যুক্ত হন রাফসান সাবাব।

অন্যদিকে, তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউব-ভিত্তিক মিউজিশিয়ান। ২০১০ সাল থেকে বিখ্যাত সব ইংরেজি গান কাভার করে শোরগোল ফেলে দেওয়া জেফার ধীরে ধীরে পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শিখরে। সম্প্রতি তিনি অভিনয়েও নাম লিখিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান

গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেছেন- শেখ হাসিনা ২০০৮ থেকে ২৪ সালের কিছু সময় পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতাকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দুই বার মাথানত করেছে। এই দুইবারই কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে মাথানত করেছে। একটা হলো ২০১৮ সালে, যখন আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি। সে জায়গায় ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা-আচিরা মহাসড়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য রাজপথ যখন যৌক্তিক দাবিতে অবরোধ করা হলো তখন শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। আরেকবার বাধ্য হলো ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত ছাত্র অধিকার পরিষদের টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শাখার পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ি করে শাকিল উজ্জামান বলেন- আপনারা দেখেছেন, সচিবালয়ে একটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। আমরা বলতে চাই, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটা সচিবালয়ের ভেতরে শেখ হাসিনার দোষরা পরিকল্পিতভাবে করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দাস-দোসররা এখনো দেশে রয়েছে। তারা এখনো কিন্তু দেশে বসে দেশে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা অথিতে দেখেছি, আমরা যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি তখন শেখ হাসিনা তার প্রশাসন বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে।

দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, আমরা যখন রাজপথে আন্দোলন করেছি সেসময়ে সচিবালয়ের ভেতর থেকে বিভিন্ন রকম আমলা ও কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার জন্য তারা মিছিল করে। যে সকল আমলা ও কর্মকর্তারা হাসিনার পক্ষে বিগত সময়ে সচিবালয় থেকে মিছিল করেছে, শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখার জন্য কাজ করেছে তারা এখনো কিভাবে সচিবালয়ে থাকে। আমরা বলতে চাই, এ সকল শেখ হাসিনার দোসরদের কারণেই সচিবালয়ের ভেতরে অগ্নিসংযোগটা হয়েছে। সচিবালয়কে বলা হয় দেশের হৃদপিণ্ড, সকল কিছু এই সচিবালয়ের ভেতরে থাকে। সেই সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা এই অগ্নিকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন- আপনারা দেখে থাকবেন, বিগত কয়েকদিন ধরে সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন মাধ্যমে শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির খবরগুলো পত্র-পত্রিকায় এবং বর্হিবিশ্বে প্রচার করা হচ্ছে, তথ্য বেরিয়ে আসছে ঠিক সেই সময়ে শেখ হাসিনা তার যে দোসরগুলো রেখে গেছিল সেই দোসরগুলো দিয়ে শেখ হাসিনা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। এই দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র দেশে এবং বর্হিবিশ্বে যেন প্রচার না হয়, অপরাধ যেন বর্হিবিশ্বে প্রচার না হয় সেই অনিয়ম, দুর্নীতি নথিপত্র তারা তাদের দোসরদের দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির নথিপত্র পুড়ে রেহাই পাবে না। এই অপরাধের জন্য তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মুখোমুখি হতে হবে।

এ সময় পরিচিত সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি আল আমিন উদয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী, গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাসেল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান ছানবীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার গণঅধিকারের পরিষদের অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাপশন:
গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান বক্তব্য রাখছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে আটক হওয়া হিন্দু ধর্মপণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আগামী ২ জানুয়ারি তার জামিন শুনানি হবে, যেখানে তার পক্ষে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আইনি লড়াই করবেন। রবীন্দ্র ঘোষ বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে অবস্থান করছেন এবং সেখানেই ইসকনের মন্দিরে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন। মন্দিরে তাকে নিয়ে যান ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারামণ দাস।

বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ অবস্থান করছেন এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২ জানুয়ারি জামিন শুনানিতে আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে তিনি হুমকি-ধামকির মুখে পড়ছেন।

তিনি আরও জানান, শুনানির আগে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, যেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং বিজেপি-ঘনিষ্ঠ সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ।

এদিকে, ইসকন বাংলাদেশ জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তবে কলকাতা শাখা তার পক্ষে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। কলকাতার ইসকন নেতার আমন্ত্রণে তিনি মন্দিরে গেছেন।

Header Ad
Header Ad

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন, কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে নাও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি, এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন? প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন
সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয়: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পানির ট্যাংকে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না আ’লীগ নেত্রী  
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০
ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ থেকে
দাঁড়িয়ে থাকা করমিনে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের
জাহাজে ৭ খুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকেরা  
জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা