বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেনের এক দশকের সংসার জীবনে ফাটল ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তার স্ত্রী কাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব এমন দাবি করে আজ বুধবার ভোররাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন ঋদ্ধি।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বউ বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে। আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয় কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকতে দেব না।

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনোই পছন্দ ছিল না! তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীদের হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়া দাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য, এডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

নিরবকে মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজকে থেকে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে কদাকার সংগহীন হলেন! ঋদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম আপদ আপনার সুন্দর জীবনের ধারে কাছে আর না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আসলেই অসম্ভব ভালো একজন মানুষ যে কখনো কারো খারাপ করতে পারেন না। অন্তত আমি ২০১৪-২০২৪ এর মাঝে কখনো দেখিনি আপনি মানুষ হিসেবে খারাপ। শুধুমাত্র আমিই ছিলাম আপনার চক্ষুশূল এবং একমাত্র বিরক্তির কারণ! এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তাদের শুরুর কথা স্মরণ করিয়ে ঋদ্ধি লেখেন, ২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা বাবা সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না! আপনার সব সমস্যার কারণ হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দিস টাইম উই আর ডান ফরএভার।

সর্বশেষ নায়কের স্ত্রী লেখেন, আমি জানি না পরবর্তীতে আপনার নতুন পার্টনারকে আমি কিভাবে সহ্য করব। শুধু অতটুকুর জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সেই শক্তিটা দেয় যে আপনাকে আর বিরক্ত করতে আমার না হয়। আপনি যেন অসাধারণ যোগ্য পার্টনার পান সেই দোয়া করি এই আজানের সময়! সরি ফর অল যাই পজেজিভনেস এ্যান্ড মেন্টাল টরচারস। আমাকে মন থেকে মাফ করে দিয়েন।

এদিকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিরবেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়। দুই মাসের সফরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নিরবের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে নিরব-ঋদ্ধি ঘরে।

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ন সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। এবং দেশে যেন কোনো রকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোকে মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্ট্যাবিলি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বলেছি।

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য তৈরির বিষয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচনের জন্য যেটা প্রয়োজন, সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত রোডম্যাপ দিতে বলে এসেছি। প্রধান উপদেষ্টা এবং যে সদস্যরা ছিলেন তারা মনযোগ নিয়ে শুলেছেন।

বিএনপি নেতাদের নামে সারা দেশে যে মামলাগুলো রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব।

Header Ad

ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো থামছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজধানীর মিরপুরে নিহত ‘শহীদ’ পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর কাছে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। এ সময় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তার যে টাকার উৎস- এটা এখনো তৃণমূলে অনেকের কাছে নানাভাবে রয়েছে। ওই টাকাগুলোই খরচ করে তারা এলাকার পর এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, চট্টগ্রামে গতকাল (মঙ্গলবার) একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি সংগঠনের অভ্যুদয় দেখছি খুব অল্প কিছুদিন ধরে। এই সংগঠনটি কীভাবে তৈরি করা হলো, কে কে এর নেতৃত্বে আছে? গতকাল (মঙ্গলবার) এই সংগঠনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; এরা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে এই সংগঠনটির মধ্যে ঢুকে সারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের একজন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, এই কারণে ভারত থেকে তার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এগুলো কীসের আলামত?

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমাদের প্রায় দুই হাজারের মতো সাধারণ মানুষকে, বাচ্চা ছেলেদের গুলি করা হয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কই তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর একটা স্টেটমেন্ট দেয়নি? শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর নিপীড়নের জন্য, এই রক্তক্ষরণের জন্য একটা স্টেটমেন্ট তো দেননি? সরকার এবং সব মানুষ আজকে বুঝতে পারছে, কোনো একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের খেলা চলছে? কোনো কিছু একটা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাতো সূর্যের আলোর মতো একেবারে পরিষ্কার। এই সংকটটা কৃত্রিমভাবে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ বিভাগীয় শহরগুলোতে নেমে পড়ছেন, দাবি জানাচ্ছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পাশাপাশি শান্তিতে-সহাবস্থানে দীর্ঘদিন বাস করছি। আজকে কেন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে, এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ এর মধ্যে নেই। তারাও বুঝতে পারছে যে, কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। একজন আইনজীবীকে পর্যন্ত হত্যা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে; এর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোনো বিবৃতি দিল না। অস্থিতিশীলতা তৈরি করার কারণে চিন্ময় ব্রহ্মচারী নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ জন্য তো বিবৃতি দিল না। সে তো বাংলাদেশের নাগরিক; তার প্রতি যদি সরকার অন্যায় করে, তাহলে তাদের লোকজন এখান থেকে দাবি তুলতে পারেন। কেন বাহিরের একটি দেশ থেকে এই ধরনের প্রতিবাদ আসছে? এগুলো তো সব রহস্যজনক বিষয়। বাংলাদেশকে তারা মনে হয় স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা মনে করে- দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে, বাংলাদেশ সেভাবে চলবে। এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এই দেশ এভাবে চলতে পারে না। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকাররা এটা যেন ভুলে না যায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতের অনেক ছাত্র সংগঠন সমর্থন দিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতের যে শাসকগোষ্ঠী, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ভারত শাসন করছে। এই কারণেই তারা একচোখা নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে দেখছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের যে প্রক্রিয়া চলছে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যে দেশ যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে- এটাকে মনে হয় অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। এই ধরনের পরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ, দেশের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ও সংগ্রামী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে জানে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, শাহাদত হোসেন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

Header Ad

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে আদালত কক্ষে ডিম ছুড়ে মেরেছেন একদল আইনজীবী। এক পর্যায়ে ওই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে নেমে যেতে বাধ্য হন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, দুপুরের পর ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলছিল। এসময় একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ডায়াসের সামনে গিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আপনি এখনও যদি ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করেন তাহলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।

এক পর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্যে কেউ একজন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন। তবে ছুঁড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এছাড়া কিছু আইনজীবী হইচই করতে থাকেন। এ অবস্থায় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।

২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে বলেন-

‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন, তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি রুলস ভঙ্গ করেন। ভাবলেন না তার শপথের কথা। ভাবলেন না, তিনি দেশকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় চার নেতাকে রক্ষা করতে। জনগণ আশ্চর্য হয়ে দেখল মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের দোসর হয়ে তাদের রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করল। যাকে এক কথায় বলা যায় বন্দুক ঠেকিয়ে জনগণের প্রতিষ্ঠান দখল।

আমরা জানি ডাকাতরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতদের যে নেতৃত্ব দেয় তাকে ডাকাত সর্দার বলে। ডাকাতি করার সময়ে ডাকাতরা বাড়িটি বা ঘরটি কিছু সময়ের জন্য অস্ত্রের মুখে দখল করে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করে। বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গংরা দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙে ডাকাতদের মতো অবৈধভাবে জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করেন। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সাংবিধানের সামান্যতম বিচ্যুতিকে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা; সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা সংবিধানকে এক কথায় হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে ‘জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিয়ম একজন সরকারী কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে অসৎভাবে হত্যাকারীদের দোসর হয়ে জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী তথা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে পুনর্বাসন করেন। তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন (যে নাগরিকত্বকে আমাদের তথাকথিত জামায়াতি এবং স্বাধীনতা বিরোধী মানসিকতার বিচারকরা বৈধ বলেন)। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেন। এর পরেও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে?

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের শুধু দোসরই হননি, বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরও জঘন্য যে কাজটি করেন তা হলো তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ