বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘টারজান’ খ্যাত অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন

অভিনেতা রন এলি। ছবি: সংগৃহীত

‘টারজান’খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন। ষাটের দশকে টেলিভিশন শোতে টারজান চরিত্রে অভিনয় করে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। মৃত্যুকালে এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রন এলির কন্যা কার্স্টেন। প্রায় এক মাস আগে রন এলি মারা গেলেও গতকাল বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি দেন কার্স্টেন। এতে তিনি বলেন— ‘মহান একজন মানুষকে হারালো পৃথিবী, আমি হারালাম আমার বাবাকে।’

মেয়ে কার্স্টেনের সঙ্গে রন এলি

মানুষের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা ছিল রন এলির। এ তথ্য উল্লেখ করে কার্স্টেন বলেন, “আমার বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাকে সবাই ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। একাধারে তিনি ছিলেন অভিনেতা, কোচ, মেন্টর, ফ্যামিলি ম্যান এবং একজন নেতা। তিনি যেখানেই যেতেন, সেখানেই ইতিবাচক শক্তিশালী প্রভাব ফেলতেন। অন্যদের মাঝে তিনি যে প্রভাব ফেলেছেন, তা আমার মাঝেও রয়েছে। সত্যি তার মাঝে জাদুকরী কিছু ছিল।”

১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রন এলি। ১৯৫৯ সালে স্কুলজীবনের প্রেমিকা জেন ট্রিপলেটকে বিয়ে করেন রন। দুই বছর পর ভেঙে যায় তাদের এই সংসার। আশির দশকে মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতা সঞ্চালনার সময়ে ভ্যালেরি লুনডেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুগল। এ সংসারে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০১৯ সালে ছেলের গুলিতে মারা যান রন এলির স্ত্রী ভ্যালেরি।

১৯৫৮ সালে ‘সাউথ প্যাসিফিক’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে রন এলির। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ঠিক তার পরের বছরই টিভি সিরিজে নাম লেখান রন এলি। ‘ফাদার নোস বেস্ট’ সিরিজের মাধ্যমে প্রথম টিভি সিরিজে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বড় ও ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। তবে চলচ্চিত্রের চেয়ে টিভি সিরিজে বেশি মনোযোগী হন এই অভিনেতা।

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক কাজ করলেও ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রন এলির ক্যারিয়ারে বড় ধরনের বাঁক বদল আসে। কারণ এসময় ‘টারজান’ টিভি সিরিজের মূল ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এনবিসি টেলিভিশনে প্রচার হয় সিরিজটি। এটি তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

Header Ad

কুবিতে র‍্যাগিং ও মাদক বন্ধে ৪ নির্দেশনা প্রক্টরিয়াল বডির

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র‍্যাগিং ও মাদক বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি ৪ টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডির।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এতথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশসমূহ হলো–বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নতুন ও পুরনো কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি শারীরিক, মানসিক, মৌখিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যেকোনো প্রকার হেনস্তা (র‍্যাগিং, বুলিং, বডিশেমিং, ইভটিজিং) নিষিদ্ধ, পরিচয় পর্বের নামে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ও বাইরে জড়ো করে ম্যানার শেখানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, নবীন শিক্ষার্থী নিজেকে ভিক্টিম মনে করে এমন শারীরিক-মানসিক পীড়ন ও অশোভন আচরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদক- ক্রয়, বিক্রয় ও সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়– কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে উর্পযুক্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাডেমিক ও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এছাড়াও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে নবীন শিক্ষার্থীকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন তাঁরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় পর্বের নামে আতংকের পরিবেশ যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্যই এই চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় হতে পারে কিন্তু এটি যেন আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি না করে। এছাড়া আমরা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

Header Ad

সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেফতার

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন ছিল ঘুষ লেনদেনের ‘হাট-বাজার’। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পিয়ন থেকে শিক্ষক পর্যন্ত নিয়োগ ও প্রকল্পের ঘুষের টাকা লেনদেন হতো ওই ভবনে বসেই। তার স্ত্রী ও ভাগিনাসহ নিকট আত্মীয়রা ছিল দুর্নীতির মাধ্যম। গত বছরের ডিসেম্বরে বাধ্য হয়ে ঘুষের টাকা ফেরতও দিতে হয়েছিল জাকির সিন্ডিকেটকে।

কুড়িগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানা যায়, নামে-বেনামে তার ঢাকায় একাধিক বাড়ি, রংপুরে বাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বহুতল বাড়ি, রৌমারীতে দুটি বাড়ি এবং রাজিবপুর উপজেলায়ও রয়েছে একটি বাড়ি। চারটি মার্কেট, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে ৫টি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মিল, চাতাল, খামারবাড়ি-সবই আছে তার। যার মূল্য কয়েকশ কোটি টাকা।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ও তার আশীর্বাদপুষ্টরা অনেক ভূমি ও সম্পদ দখলের ঘটনায় জড়িয়েছেন।

Header Ad

শেখ হাসিনার ‘সঠিক অবস্থান’ জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম

ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিভিন্ন সময়ে তার অবস্থান নিয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। এমনকি ভারত ছেড়ে তৃতীয় দেশে চলে যাওয়ারও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার ‘সঠিক অবস্থান’ জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি সেফ হাউসে দুই মাসের বেশি সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা।

দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে একটি সেফ হাউসে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বাংলো শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র জানিয়েছে, যথাযথ নিরাপত্তা ও প্রোটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝে মধ্যে লোদি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার একটি শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ পোশাকে সেসব কর্মকর্তারা তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেন। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই সুরক্ষা পাচ্ছেন। তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এলাকাটিতে বসবাস করছেন। এখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার কাছের কয়েকজন গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর দুদিনের মধ্যে সেই জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান। এ ঘাঁটিতে তিনি পৌঁছালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেন।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি ওই বিমানঘাঁটিতে বেশিক্ষণ ছিলেন না। সেখানে নিরাপদ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং তারপরে তাকে দিল্লির লুটিয়েন্স এলাকায় একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত এলাকায় রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে শেখ হাসিনা যে এলাকাটিতে রয়েছেন সেই সেটি একটি হাই সিকিউরিটি এলাকা। সেখানে ভারতের পার্লামেন্টের অনেক সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা বসবাস করছেন। তিনি বাইরে যান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানিয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনে বিষয়টি কোর নিরাপত্তা গ্রুপকে জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুবিতে র‍্যাগিং ও মাদক বন্ধে ৪ নির্দেশনা প্রক্টরিয়াল বডির
সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেফতার
শেখ হাসিনার ‘সঠিক অবস্থান’ জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৩ জনের অব্যাহতি
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান পুতিনের
সিন্ডিকেট ভাঙতে কৃষিবাজার চালুর উদ্যোগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
‘টারজান’ খ্যাত অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন
পাচারকৃত টাকা ফেরাতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৩ বার
ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর অনুমোদন
রিমান্ড শেষে কারাগারে সালমান-কাফী-জ্যোতি
ছাত্রলীগের বিবৃতি প্রচার নিষিদ্ধ
পরীমনির জন্মদিন আজ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল গ্রেপ্তার
ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডব, ভেঙে গেলো ইনানী জেটি
নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে যে বিবৃতি দিল ছাত্রলীগ
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল
প্রবাসীর স্ত্রীর খাটের নিচ থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক