বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়ে তোপের মুখে চঞ্চল চৌধুরী
ফাইল ছবি
ফেনি, নোয়াখালি, কুমিল্লাসহ দেশের ৬ জেলায় আকস্মিক বন্যায় মোট ১ লাখ ৮৯ হজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাহার ২৪৮ জন। বিদুৎ বিচ্ছিন্নের কারণে সর্বাধিক যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষিত বাহিনী ছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এটি বলেই তিনি তোপের মুখে পড়েছেন।
এর আগে ছাত্র আন্দোলনে একটি টু শব্দ করেনি এই অভিনেতা এমনটা দাবি করছেন মিডিয়ার অনেকেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চুপ ছিলেন জনপ্রিয় হাওয়াখ্যাত অভিনেতা। তবে দেশের আকস্মিক বন্যায় নীরবতা ভাঙলেন তিনি।
নীরবতা ভেঙে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আসুন, আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই।’ বানভাসিদের নিয়ে অন্য তারকাদের উদ্যোগ প্রশংসায় ভাসলেও চঞ্চলের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি। তার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অসংখ্য মানুষের ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
একজন লিখেছেন, ‘আপনাকে পাশে দাঁড়াতে হবে না। আমরাই যথেষ্ট। গুলি খাইতেছিলাম, তখন তো পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে ছিল না, এখন আসছে মায়াকান্না দেখাতে।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে কিছু করেন এতে মানুষ অনুপ্রাণিত হবে। বললেই হবে না দাঁড়াতে হবে।’
আরএকজন লিখেছেন ‘এই সুযোগ মানুষের কাছে ভালো হওয়ার এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন, জীবনে তো অনেক কিছুই দেখাইছেন আশা করি এই সুযোগটা হাতছাড়া করবেন না।’
সময়ের সাথে ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লাসহ আরও কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার নোয়াখালীতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। তৃতীয় দফা বন্যায় ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।