মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া

সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মা পারভীন সুলতানা দিতিকে হারানোর কষ্ট এখনও তাড়া করে বেড়ায় লামিয়া চৌধুরীকে। তবে এই মনোকষ্ট নিয়েই মিডিয়ায় আসতে চান তিনি। প্রয়াত সোহেল চৌধুরী ও দিতির কন্যা এরই মধ্যে শুরু করেছেন একটি সিনেমা তৈরির কাজ।

দেড় দশক আগে মাকে জানালেও সেই সময় দিতি চাননি মেয়ে মিডিয়ায় আসুক। পরে লামিয়া চলে যান অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসে না। সিনেমা তাকে বেশি টানে। এরপর ইকোনমিকস পড়া বাদ দিয়ে চলে যাই লন্ডন ফিল্ম স্কুলে ফিল্ম প্রডাকশনের ওপর ডিপ্লোমা করা শুরু করেন। সেখানে থেকে নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, স্টোরি টেলিং, সম্পাদনাসহ সিনেমার সব বিষয়ে শিখতে থাকেন।

মায়ের সঙ্গে লামিয়া। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম নারীদের নিয়ে গল্প লেখেন লামিয়া। চিত্রনাট্য করে দেন অনম বিশ্বাস। টেলিছবির পরিকল্পনা ছিল। সবকিছু অনেকটাই গুছিয়ে আনছিলেন। এমন সময় তার মা মারা যান।

দিতিকন্যা লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি দেশে এসেছিলাম মায়ের সঙ্গে পরিচালনার জন্য। এটাই ছিল আমার জীবনের স্বপ্ন। আমার গল্প ছিল নারীদের নিয়ে। গল্প–ভাবনা নিয়ে মা খুশি হয়েছিলেন। যতই আমি স্বপ্নের পথে এগোতে থাকি, ততই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মা যাওয়ার পরে একেবারে একা হয়ে পড়ি। একে আমি দেশে নতুন। অনেক কিছুই চিনি না, জানি না। আমাকে গাইড করার মতো কেউ নেই। যেন অথই এক সাগরে পড়ে যাই। পরিবারের সবকিছু ছোট বয়সেই দেখার ভার আমার ওপরে পড়ে। তখন আমি আর সিনেমা নিয়ে কাজ করতে পারিনি।’

 

২০১৬ সালে দিতি প্রয়াত হওয়ার কয়েক বছর নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কাজটি করার। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়েছে। তত দিনে চারপাশে দেখা গল্পের চরিত্রগুলো বড় হতে থাকে। গত বছরের শুরু থেকে সিনেমাটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে থাকেন। পাঁচ মাস ধরে সিনেমাটি নিয়ে টানা কাজ করছেন। ১০ বছর আগের সেই গল্প এখন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। নিজেই চিত্রনাট্য করেছেন।

লামিয়া বলেন, ‘আমার এই স্বপ্নের সঙ্গে শুরু থেকে মা জড়িত। আমি বারবার চেয়েছিলাম নির্মাণ করতে। কিন্তু আমাকে সাপোর্ট করতে পারে এমন লোক পাইনি। কয়েকবার প্রজেক্টটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েও আবার পিছপা হতে হয়েছে। সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু আমার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল, এই গল্পটা আমার জন্য স্পেশাল। আমাকে বানাতেই হবে। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি সিনেমা বানাব। মাকে ছাড়া সিনেমাটির কাজ করাটা অনেক কঠিন হবে।’

লামিয়ার নির্মিতব্য এই সিনেমার নাম ‘মেয়েদের গল্প’। এই প্রজন্মের ১৮ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের মায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রত্যাশা, বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া নিয়েই এগিয়ে যাবে তিন মেয়ে ও তিন মায়ের গল্প। ইতিমধ্যে অভিনয়শিল্পী নির্বাচন, লোকেশন বাছাই, কস্টিউম ডিজাইনের কাজ শুরু করেছেন। বর্ষা মৌসুমের পরে সিনেমার শুটিংয়ে যেতে চান। ইচ্ছা রয়েছে সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি দেওয়ার।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল