বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ

পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট আহমেদ সাদ। ছবি: সংগৃহীত

চিরতরে চলে গেলেন পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট আহমেদ সাদ। দীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৫২ বছর বয়স হয়েছিল এ সংগীতশিল্পীর।

গায়কের মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে তার শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার।

আবার তিনদিন আগেই হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে ফের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।

পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গায়ক আহমেদ সাদের দাফন বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু অভিক। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে তার পরিবার থেকে।

ব্যান্ড পেপার রাইম এবং এর শিল্পী আহমেদ সাদ নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় শ্রোতারা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

পেপা রাইম ব্যান্ডের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য ওই বছরই কার্যক্রম থমকে যায় ব্যান্ডটির। তবে ২০০৯ সালে সেটি সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় ব্যান্ডে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেন মিরাজ ও লনি। ড্রামার অভিক ২০১১ সালে দেশে ফিরে ব্যান্ডে যোগ দেন। তারপর অনুশীলন করতে থাকেন তারা। নতুন অ্যালবাম প্রকাশেরও কথা চলে। কিন্তু ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট সাদের অসুস্থতা সেটি আর হয়ে উঠে না। ফলে ২০১২ সালে পথচলা অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে থমকে যায়।

২০১৭ সালে সবশেষ ‘আবার’ নামের একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয় পেপার রাইমের। আশিক মিউজিকের ব্যানারে মিক্সড অ্যালবামটির গানটির শিরোনাম ছিল ‘দাঁড়াও বন্ধু’।

Header Ad
Header Ad

হত্যার বিচার না করতে পারলে আমাদের বাঁচার অধিকার নেই: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচার করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমিতে ‘দ্য জুলাই রেভ্যুলেশন: এভিডেন্স অব এট্রোসিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগষ্টের হত্যার বিচার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার, মার্চ মাস থেকে শুনানি শুরু হবে ট্রাইব্যুনালে। বিচার করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। যত দ্রুত সম্ভব বিচার করব।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর প্রতিবেদনগুলোর কিছু সমন্বয় করা হবে। তাছাড়া, কোনটি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, বিচার কার্যক্রম অত্যন্ত সাবলীলভাবে চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনের আগেই ট্রায়াল কোর্টে বিচার শুরু করতে পারব।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল নিষিদ্ধে বিভিন্ন আইন রয়েছে। আমরা বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। রায় অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

Header Ad
Header Ad

অনশনরত এসআইদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা

অনশনরত এসআইদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাদ পড়া ৩২১ জন শিক্ষানবিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন। মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন।

মামুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন, ও মারধরের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তবে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংযোগের কারণে তিনি এইসব অভিযোগ থেকে পার পেয়ে গেছেন।

অবশ্য মামুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, ৩২১ জন এসআই তাদের পরিবার এবং দেশের ১৮ কোটি মানুষের সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, "আমাদের মধ্যে কারও যদি অপরাধ থাকে, তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক। বাকিদের চাকরি পুনর্বহাল করা হোক।"

অন্যদিকে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, মামুন ছাত্রলীগের পরিচয়ে নানা অপকর্ম করতেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হলের সিট বাণিজ্য, এবং মাদক সেবনের অভিযোগ জমা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও তার ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন।

এই আন্দোলনে মামুনের নেতৃত্ব দেওয়ায় ছাত্র-জনতার মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, "ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্যদের প্রশাসনে পুনর্বহালের অপচেষ্টা রুখতে হবে।"

মামুনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এদিকে, সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। চাকরি পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী এসআইরা।

Header Ad
Header Ad

ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। ছবি: সংগৃহীত

ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ডেসটিনির পরিচালক লে. জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা, জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, এস এম আহসানুল কবির বিপ্লবসহ আরও কয়েকজন।

বর্তমানে কারাগারে আছেন রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা এবং মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে, লে. জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ জামিনে রয়েছেন এবং বাকিদের মধ্যে ১৫ জন পলাতক।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদক কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করে। পরে, ২০১৪ সালের ৪ মে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তদন্তে উঠে আসে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২,২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অর্থের মধ্যে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা এলসি আকারে উত্তোলন করা হয় এবং ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয়।

ডেসটিনির কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। আদালতের এই রায়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রতারণার বড় একটি দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জনগণের আস্থায় বড় আঘাত।

এ ঘটনায় আগে ২০২২ সালের ১২ মে আরেক মামলায় রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছিলেন। আদালতের সাম্প্রতিক এই রায় প্রমাণ করে, আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতি করলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হত্যার বিচার না করতে পারলে আমাদের বাঁচার অধিকার নেই: আইন উপদেষ্টা
অনশনরত এসআইদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা
ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বাম চোখে সমস্যা, শিশুর ডান চোখ অপারেশন করলেন চিকিৎসক
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান