২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝে এসে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে বাড়ছে সিগারেটের শুল্ক ও দাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর মাধ্যমে সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায়ের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
সিগারেটের অভ্যাস ছাড়তে বহু মানুষই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। এর পেছনে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক কারণ, যা বেশিরভাগ সময়ই খুব শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তবে সঠিক উপায় এবং মানসিক প্রস্তুতি থাকলে সিগারেট ছাড়া সম্ভব। এখানে কয়েকটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনার সিগারেটের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে।
১. বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন
যদি একাই সিগারেট ছাড়তে না পারেন, তবে বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম বা কাউন্সেলিং সেশন নেয়া যেতে পারে। অনেক চিকিৎসক এবং ক্লিনিক সিগারেট ছাড়ানোর জন্য বিশেষ চিকিৎসা এবং সেবা প্রদান করে। সেগুলি আপনার অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে।
২. পুনরায় চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য্য রাখুন
সিগারেট ছাড়ার সময় পিছু হটলে হতাশ হবেন না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। ভুল হলে আবার চেষ্টা করুন, আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য্য রেখে যাত্রা চালিয়ে যান, কারণ সাফল্য আসবেই।
৩. ইনহেলার বা নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করুন
কিছু মানুষ নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করে সিগারেট ছাড়ে। এই থেরাপি শরীরে নিকোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ইনহেলার, গাম, প্যাচ বা লজেনজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি সিগারেট ছাড়ার প্রক্রিয়া সহজ এবং ঝুঁকি মুক্ত করে
৪. নিজের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করুন
সিগারেট ছাড়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা। আপনি কেন সিগারেট ছাড়তে চান, তা ভাবুন—স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক কারণে, অথবা পরিবারের জন্য। এই উদ্দেশ্য মনে রেখে কাজ করুন এবং যখনই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হবে, তখন এই উদ্দেশ্যগুলো আপনাকে শক্তি দেবে।
৫. প্রত্যাহারের লক্ষণ মেনে চলুন
সিগারেট ছাড়ার সময় আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন তীব্র মাথাব্যথা, একাগ্রতার অভাব, বিরক্তি, এবং উৎকণ্ঠা। এগুলো হলো সিগারেট থেকে বের হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। সেগুলো মেনে চলুন এবং ধীরে ধীরে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
৬. পর্যায়ক্রমে সিগারেটের সংখ্যা কমান
সিগারেটের অভ্যাস একদিনে পুরোপুরি ছাড়া সম্ভব নাও হতে পারে। শুরুতে আপনার দৈনিক সিগারেটের সংখ্যা কিছুটা কমান এবং এটি ধীরে ধীরে আরও কমাতে থাকুন। যেমন, এক সপ্তাহে একটি সিগারেট কমানোর চেষ্টা করুন এবং পরে পুরোপুরি ছেড়ে দিন।
৭. নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
সিগারেট খাওয়ার বদলে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, বা প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে আনবে। চা বা জলপান গ্রহণেও অভ্যস্ত হতে পারেন।
৮. বন্ধুদের সহায়তা নিন
আপনি একাই এই যাত্রা শুরু করতে পারেন, কিন্তু অন্যদের সহযোগিতা এবং উৎসাহ অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের সহায়তা নিন যারা আপনাকে সমর্থন করতে পারেন। তারা আপনাকে শক্তি যোগাবে এবং আপনিও তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন।
৯. স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা
অনেকের জন্য সিগারেট একটি স্ট্রেস কাটানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবর্তে আপনি মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।