শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এফডিসিতে ফেরদৌসকে বিশেষ সংবর্ধনা

এফডিসিতে ফেরদৌসকে বিশেষ সংবর্ধনা। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে লড়বেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ১২টার দিকে বাংলাদেশর চলচ্চিত্রশিল্পী ও শিল্পী সমাজের পক্ষে থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এসময় নিজের অনুভূতি জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘আমাকে এই সম্মান জানানোর জন্য সত্যিই আমি আনন্দিত। আমার বন্ধু ও সহকর্মীদের পাশে পেয়ে অভিভূত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আমি ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়ন পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে আমি আমার পাশে চাই, সামনে চাই। আমি চাই আপনারা আমাকে যেভাবে পথ দেখিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আগামীতেও ঠিক সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফেরদৌস বলেন, আপনাদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদকে, ২ লাখ মা-বোনকে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ঐকান্তিক ইচ্ছা শক্তির জন্য, আজ আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এটি ঢাকার অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আসন। এটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে শুধু আমাকেই সম্মানিত করেছেন তা নয়, আমাদের পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গন ও চলচ্চিত্র পরিবার আজ সম্মানিত। আপনারা দেখেছেন পুরো চলচ্চিত্র পরিবার আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমার পথচলার নতুন সাথীরা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাকে ভালোবেসে বরণ করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে আমি সফলতার দিকে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

এফডিসিতে ফেরদৌসকে বিশেষ সংবর্ধনা

 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মিডিয়ার বন্ধুরা আমার পাশে সব সময় ছিলেন। গত ২৫-২৬ বছর ধরে আপনারা আমার পাশে ছিলেন, আছেন। আপনারা থাকবেন- এই বিশ্বাস আমার আছে। তাই আপনাদের সবসময়ই পাশে চাই।

এদিকে আজ সকাল থেকে তারকাদের পদচারনায় মুখরিত এফডিসি। বিজয় উৎসবের আমেজ লেগেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। বিজয় দিবসের সকাল থেকেই সেখানে চলছে বিজয় উৎসব। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে সকাল ১১টার দিকে স্বাধীনতার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে নায়ক ফেরদৌসকে সংবর্ধনা দেওয়ার হয়।

এদিন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি বহিরাগত লোকজনের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। এফডিসিজুড়ে ভিড় ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের।

Header Ad

৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম

ছবি: সংগৃহীত

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি চিত্রকর্ম ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৮ ডলার রেকর্ডমূল্যে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ প্রায় ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার সমান। কোনো বাংলাদেশি শিল্পীর চিত্রকর্মের দামের দিক থেকে এটি একটি রেকর্ড।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি চিত্রকর্ম ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৮ ডলার রেকর্ডমূল্যে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার সমান। কোনো বাংলাদেশি শিল্পীর চিত্রকর্মের দামের দিক থেকে এটি একটি রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চিত্রকর্মটি যুক্তরাজ্যে নিলামে তোলে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সদবি’স। সেখানেই ছবিটি বিক্রি হয়। এটি জয়নুলের ‘মনপুরা ৭০’ সিরিজের একটি কাজ।

জয়নুল আবেদিন এসব বিখ্যাত ছবি আঁকেন দক্ষিণাঞ্চলের চর মনপুরায় ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর। এ ঝড়ে প্রাণ হারান লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে তাঁর আঁকা চিত্রকর্মগুলোও অনবদ্য।

চিত্রকর্মটি শিল্পী জয়নুল আবেদিনের পক্ষ থেকে চেদোমিল প্লাজেককে উপহার দেওয়া হয়েছিল। বর্ণনা অনুযায়ী, এটি কাগজের ওপর কালির আঁচড়ে আঁকা এবং নিচের ডানদিকে 'জয়নুল/১৯৭০' স্বাক্ষর ও তারিখযুক্ত।

সদেবি'স-এর তথ্য অনুযায়ী, প্লাজেক ছিলেন একজন হাইড্রোজোলজিস্ট এবং জাতিসংঘের জিওথেনিকা যুগোস্লাভিয়ার প্রতিনিধি। তিনি কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকতেন এবং বহু বছর ধরে জাতিসংঘের ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন জয়নুল আবেদিনের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়।

প্রায় ৩০০ বছর আগে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে নিউ ইয়র্কে সদর দপ্তর থাকা সদেবি সম্প্রতি এই নিলামের আয়োজন করে, যেখানে রেকর্ড দামে এসব চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছে।

সদেবি'সে-এর নিলামের ফলাফল থেকে জানা যায়, জয়নুল আবেদিনের আরেকটি চিত্রকর্ম "নামহীন (মাল্টিপল ফিগার)" রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। এটিও শিল্পীর পক্ষ থেকে চেদোমিল প্লাজেককে উপহার দেওয়া হয়েছিল এবং ৪ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডে (৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯০ ডলার) বিক্রি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭.৬৯ কোটি টাকা।

এই চিত্রকর্মটি তেল রঙে ক্যানভাসে আঁকা, নিচের ডানদিকে 'জয়নুল/ ৭১' স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে এবং এটি ১৯৭১ সালে আঁকা হয়।

আরেকটি চিত্রকর্ম 'নামহীন (ফিগারস)' ২ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে (২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩ ডলার) বিক্রি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩.৪৬ কোটি টাকার সমান।

এর আগে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জয়নুল আবেদিনের আরও দুটি চিত্রকর্ম নিলামে তুলেছিল সদবি’স। সেগুলোর একটি ছিল তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সাঁওতাল দম্পতি’। ১৯৫১ সালে আঁকা ওই চিত্রকর্ম ৩ লাখ ৮১ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল। আর বসে থাকা নারীর আরেকটি চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪০০ ডলারে। সেটি জয়নুল এঁকেছিলেন ১৯৬৩ সালের দিকে।

আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন নাহিদ ইসলাম

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বিশ্বমঞ্চে মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক খালিদ মহিউদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

মাস্টারমাইন্ড নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জায়গা। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন। এই আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ এটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। একটা সময় আন্দোলন পরিচালনা করতে অনেকেই বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে যার কথা বলা হয়েছে তিনি বিশেষভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তিনি (মাহফুজ আলম) বা আমরা কেউই এ মাস্টারমাইন্ড শব্দের সঙ্গে একমত নই। অনেকেই শব্দটাকে হয়ত ভালোবেসে ব্যবহার করেছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৬৯ এবং ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিলেও সামনে রাজনৈতিক দল ছিল। আন্দোলনের পর তারা ক্ষমতা নেয়। এবারের আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দল সামনে ছিল না। ৫ আগস্টের পর এ দায়িত্বটা আমাদের ওপর এসে পড়েছে। যার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

ভাষণে কী প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে তিনি কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলো তুলে ধরবেন। এছাড়া বৈশ্বিক অগ্রাধিকার, বিশ্বযুদ্ধের ফলে ক্ষয়ক্ষতি, ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের এবার বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।

সর্বশেষ সংবাদ

৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম
আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন নাহিদ ইসলাম
আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
জুমার দিন যে আমলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
সিরিজ রক্ষার ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন
দেশে ফিরলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান
আ.লীগ নেতাদের পলায়ন ঠেকাতে বর্ডার হাট না খোলার আবেদন জামায়াতের
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ
দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা কাউন্সিলরদের অপসারণ
দেশে রেমিট্যান্সের আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাড়ছে রিজার্ভ
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন
পেশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী, পরিচয় দেন সাংবাদিক
একদিনে সারাদেশে ৮ হাজার মশার প্রজননস্থল ধ্বংস
সাকিবের নিরাপত্তার বিষয়টি বিসিবির হাতে নেই: ফারুক আহমেদ
দেশে গুম হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১৫৫ জনের বেশি: মায়ের ডাক
মধুপুরের আনারস জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি ফজলে করিম
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নতুন নির্দেশনা