জীবন সুন্দর, মৃত্যু যে বড় সুন্দর: পরীমনি
পিরোজপুরে নানার কবরের পাশে চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ প্রিয় নানাকে হারিয়ে একা হয়ে গেছেন ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমণি। নানাকে হারানোর পর সে বেদনা আজ ফেসবুকে ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন অভিনেত্রী। শনিবার (২৫ নভেম্বর) পরীমণি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
ওই স্ট্যাটাসে ৪টি ছবি পোস্ট করেন পরী। পোস্ট করা ৪টি ছবিই ছিল পরীর নানার কবরের। পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নানার কবরের সামনে সাদা পোশাকে বসে আছেন পরী।
পোস্ট করা এ ৪ ছবির সঙ্গে একটি আবেগী লেখাও জুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে নানার মৃত্যুর পর নিজেকে এতিম অনুভব হওয়ার কথা জানিয়েছেন পরী। তবে শোক সহ্য করার ক্ষমতাও জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই লেখায় জীবনের চরম সত্য ‘মৃত্যু’ নিয়ে পরীর দৃষ্টিভঙ্গিও ফুটে উঠেছে। নানাকে হারানোর পর পরী মনে করেন, জীবন সুন্দর হলে মৃত্যু আরও বেশি সুন্দর।
কিছু ছবি পোস্ট করে পরীমনি লিখেছেন, ‘এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তার পর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জীবনে আমার নানার মতোন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিল। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বটগাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সঙ্গে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে।’
শেষে ভালোবাসার ইমোজি জুড়ে দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…’।
প্রসঙ্গত, পরীমনির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানাবাড়িতেই বেড়ে উঠেন পরীমনি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পরী।