৩১ বছর পর কানে ফিরল ‘সারাফিনা!’
১৯৯২ সালে তৈরি হয়েছিল ‘সারাফিনা’ ছবিটি। তখন দক্ষিণ আফ্রিকাতে বর্ণবাদী নৃশংসতা চলছিল। আন্তর্জাতিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের সাহায্যে তৈরি ছবিটির শুভমুক্তি হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ১১ মে, ১৯৯২।
ছবিটি দক্ষিণ আফ্রিকার সিনেমা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন লেখক, কম্পোজার, মঞ্চ প্রযোজক এমবেঙ্গানি এনগেমা ও উইলিয়াম নিকলসন। এনগেমা ও ইংরেজ কম্পোজার স্টানলি মায়ারস মিলে সংগীত তৈরি করেছেন এই সংগীতনিভর সিনেমাটিতে। পরিচালনা করেছেন ড্যারল জেমস রুড।
এই ছবিতেই প্রথম আলোর নিচে এসেছেন অভিনেত্রী লোলেটি কুমালো। তিনি এই সিনেমার প্রধান চরিত্র। তার সহ-অভিনেতা সোমোজি মোহোঙ্গো এই সিনেমার সূত্রে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হয়েছেন। এ ছাড়া, সারাফিনা! ছবিতে কাজ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম গ্র্যামিজয়ী মিরিয়াম মাকেবা (মামা আফ্রিকা), আরও ছিলেন আফ্রিকার অন্যতম সেরা চিত্রনাট্যনির্মাতা ও অভিনেতা জন কানি। তাদের সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার কালো মেয়ে অস্কার, অ্যামি, গ্র্যামি ও টনি এবং মার্ক টোয়েন পুরস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী হুপি গোল্ডবাগ।
একত্রিশ বছর পর আবার কানে ফিরে এলো তাদের ‘সারাফিনা!’। কান ক্লাসিকসে প্রদর্শিত হচ্ছে ছবিটি।
খবরটি প্রদান করেছেন সিনেমাটির নায়িকা লোলেটি কুমালো। তিনি ইনস্ট্রামে লিখেছেন: ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কান ক্লাসিকসে প্রদর্শনের জন্য এবার ‘সারাফিনা’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ। আমার মনে পড়ছে, ১৯৯২ সালে আমাদের এই ছবিটির জন্য আমি ২০ মিনিটের স্টান্ডিং ওভেশন পেয়েছি।’
ওএফএস/এমএমএ/