এবার নিপুণকে অবৈধ বলে চিঠি দিলেন জায়েদ খান
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার নিয়ে নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানের দ্বন্দ্বের কথা বহুল আলোচিত বিষয়। এই দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ আক্তার।
তৃতীয় মেয়াদে ভোটে নির্ববাচিত হয়েও টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে সমিতির পদ হারিয়েছেন জায়েদ খান। এবার হারাতে বসেছেন সমিতির সদস্যপদ। কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার বছর ঘুরতেই স্থগিত হতে যাচ্ছে জায়েদ খানের সদস্যপদ।
রবিবার (২ এপ্রিল) সমিতির সভা ডেকেছে বর্তমান কমিটি। সেখান থেকেই আসবে জায়েদ খানের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্তটি।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেন জায়েদ খান।
তিনি অভিনেত্রী নিপুণ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন শনিবার (১ এপ্রিল)। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
চিঠিতে জায়েদ খান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, আর্টিস্ট রুম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫’-এই ঠিকানায় নিপুণ বরাবর লিখেছেন, ২২ ফেব্রুয়ারি আপনার ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব। আমি পেশাগত কাজে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি প্রেরণ করেন আমাকে। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার উপর জারি হয়নি। ৩১ মার্চ সেটি আমি পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।
জায়েদ সেখানে আরও বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি ‘frustrate’ করার অসৎ উদ্দেশে ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।
আপনি ২২ ফেব্রুয়ারি কেন আমার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থী, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনি। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে একজন সহশিল্পী হিসেবে আপনাকে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর এবং আদালত অবমাননাকর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আপনার এবং অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
এএম/এমএমএ/