অন্য এক প্রাণ রায়ের সঙ্গে মুন

একমাত্র সন্তান মানিককে (প্রাণ রায়) নিয়েই বিধবা মায়ের সংসার। মানিকের মা জহুরা বেগম পিতার অবর্তমানেও সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। মানিকের বাবা মারা যাওয়ার আগে যে সম্পত্তি রেখে গেছেন, তাতে তাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে।
মানিক ঢাকায় গিয়ে একটা চাকরি করতে পারে, কিন্তু তার মা স্বামীর ভিটা ছেড়ে কোনোদিনই ঢাকায় গিয়ে থাকবে না। তাই মানিকও চাকরি করার চিন্তা না করে স্থানীয় বাজারে বড় একটি ফার্মেসির ব্যাবসা দিয়ে বসেছে। সংসারে কোনো কিছুর অভাব না থাকা সত্যেও জহুরা বেগমের মনে শান্তি নেই। কারণ, তার একমাত্র পূত্র মানিকের জন্য হেদায়েত ঘটক আজ পর্যন্ত কোনো পাত্রী জোগাড় করতে পারেনি। কারণ,মানিকের গায়ের রঙ কালো আর দাঁতগুলোও বেশ উঁচু একটু অস্বাভাবিক।
একবার তো পাত্রী দেখতে গিয়ে এক মেয়ে মানিককে দেখে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে হেদায়েত ঘটক কোথাও মানিকের বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারেনি। মানিক অবশ্য বিয়ে করার স্বপ্ন ছেড়েই দিয়েছে। কিন্তু জহুরা বেগম আশা ছাড়েন না। এমন ভিন্ন ধরনের গল্পে সাজ্জাদ স্বপন রচিত ‘মন ও মানুষ’ নামের টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন প্রাণ রায়। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মুন। এটি পরিচালনা করেছেন শামীমা তুষ্টি।
এতে আরও অভিনয় করেছেন শিরিন আলম, হাননান শেলি, শেলি আহসান, মাআ সামাল প্রমুখ। টেলিফিল্মটি ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ০৫মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।
এএম/এমএমএ/
