নির্যাতনের অভিযোগে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন পরীমণি
কদিন ধরেই মিডিয়াতে গুঞ্জন উঠেছিল ভেঙে যাচ্ছে পরীমণি ও শরিফুল রাজের সংসার। এই গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিয়েছিলেন পরীমণি নিজেই। এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছিলেন রাজের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন পরীমণি।
বেরিয়ে এসেছিলেন রাজের বাসা থেকেও। অবশেষে বছরের শেষদিন রাতে আবারও দুজন একত্রে হয়ে সবকিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে বলেও বলেছিলেন তারা।
৩১ ডিসেম্বর রাতে আবার পরীমণি রক্তেভেজা বিছানার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘শুভ নববর্ষ আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন...লোড হচ্ছে’। এরপর সবাই ধরেই নিয়েছিলেন পরীমণিকে মারধর করেছেন রাজ।
তবে রবিবার (১ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন না করে পরীমণি তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা বিস্তারিত জানালেন নতুন বছরের প্রথম দিন ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
পরীমণি লেখেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই।’
আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রিতিমতো দারুন এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়ালো। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিলো শুধু।’
পরীমণিকে শারিরীক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম। রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি।’
এরপর পরীমণিকে হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।’
তিনি আরও লেখেন: ‘সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চয়ই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারল না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে।’
এএম/এমএমএ/