শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বব ডিলানের ১৫০ প্রেমপত্র নিলামে

২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল জয়ী ৮১ বছরের বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকার। অন্যতম সেরা গায়ক বব ডিলানের লেখা গভীর ভালোবাসায় ঘেরা মাধ্যমিকের প্রেয়সীর কাছে লেখা ব্যক্তিগত প্রেমপত্রগুলো ৩ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার থেকে নিলামে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে।

কিশোর বব ডিলান তখন তখন গাইতেন তার ভালো নাম ‘বব জিবারম্যান’ হিসেবে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরের মানুষদের কাছে ‘হিবিং বালক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মোট ৪২টি প্রেমপত্র লিখেছেন তিনি তখন। তার প্রেমিকা লিখেছেন ১শ ৮টি। ফলে তাদের পরস্পরকে লেখা ১৫০টি প্রেমপত্র রয়েছে। ডিলানের ভালোবাসার এই কিশোরীর নাম হলো ‘বারবারা অ্যান হিউয়েট’।
তাদের প্রেমপত্রগুলো বিনিময় হয়েছে ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে, মোটে দুই বছরের তুমুল কিশোর প্রেমের সময়ে।

ব্যক্তিগত এই গোপন সংগ্রহটি নিলামে আনছে ‘আর আর অকশন’ নামের একটি কোম্পানি। কোনোদিনও এর আগে কখনো বব ডিলানের এই প্রেমপত্রগুলো কোথাও প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফোক-রক আইকনের প্রেমপত্রগুলো নিয়ে এর মধ্যেই তুমুল সাড়া পড়ে গিয়েছে গানের মানুষদের ভুবনে। অন্যরাও গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

সেগুলোতে আছে তার জীবনের একেবারে শুরুর দিকের অনেক তথ্য, মনোজগতের পূর্ণ ছবি। নিলাম প্রতিষ্ঠান আর আর অকশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ববি লিভিংস্টোন বলেছেন, ‘আমরা যারা এর আগে অফার করেছি ক্রেতাদের কেনার জন্য, ২০ শতকের তাদের যেকোরো সবচেয়ে গুরুত্বপূণ সাংস্কৃতিক সংগ্রহটির একটি হলো ডিলানের প্রেমপত্রগুলো।’ প্রেমপত্রগুলোর মধ্যে আছে একটি শালীন ‘ভালোবাসা দিবসের কার্ড’।

এই বিষয়ে বব লিভিংস্টোন বলেছেন, ‘ডিলানের গড়ে ওঠার দিনগুলোতে প্রথম ব্যক্তি (তিনি নিজে)’র দেওয়া সঞ্চয়।’

২০২০ সালে অস্কার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পদক ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল’ জয়ী বব ডিলানের কিশোরী প্রেমিকা পূর্ণ বয়সে মারা গিয়েছেন। এরপর তার মেয়ে মায়ের এই গোপন সঞ্চয় খুঁজে পেয়েছেন।

সত্যিকারের আসল খামে ডিলানের হাতের লেখায় প্রেমপত্রগুলো চিরকালের জন্য রেখে দিয়েছেন তার মা। মায়ের এই সারা জীবনের সঞ্চয় নিলামে ওঠার পর দরে বনে বিক্রি হয়ে যাবে ১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে, আর মাত্র দুদিন পর।

আর আর অকশন আরও জানিয়েছে, বব ডিলানের এই বিনিময় করা প্রেমের চিঠিগুলোতে আরও আছে খাবার, গাড়ি’র মতো কিশোর বয়সীদের ভাবনাগুলো। তাদের লেখা চিঠিগুলোতে আছে সংগীত নিয়ে বব ডিলানের ভাবনা ও গানে স্বাদের কাহিনি।

এ ছাড়া, টুকটাক কবিতা লিখেছেন স্বভাবকবি। আগের সময়ে, সেই জীবনে গভীরভাবে ভালোবাসা এই মেয়েটিকে লেখা বব ডিলানের চিঠিগুলো আরও স্বাক্ষ্য দেয়, তিনি তার কাছে নিজের ভবিষ্যত জীবনের কাহিনিও বলেছেন। সেখানে তার গভীর স্বপ্নগুলো বুনে রেখেছেন তিনি। কেন না, এর মধ্যে চিঠির কাহিনিগুলো মানুষের সামনে আসতে শুরু করেছে। একটি চিঠিতে তিনি তার নামটি বদলে ফেলার বিষয়ে প্রেমিকার মতামত চেয়েছেন। তারা নিজেদের কাছে পত্রগুলো লিখতেন লিটল উইলি ও অ্যালসটোন নামে।

এই চিঠিগুলোর বিষয়ে বব ডিলানের একজন বড় ভক্ত লিভিংস্টোন বলেছেন, ‘তারা আসলে আলো ফেলেছেন তখনকার জীবনে কীভাবে বব ডিলান নিজেকে প্রকাশিত করতে চলেছেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘চিঠিগুলো প্রমাণ করে ডিলান তার প্রতিভার জীবনে সবকিছু ওপরে তুলতে চাইছেন, চলেছেন এবং পরবতীতে সবই বাস্তব হয়েছে, যে স্বপ্নগুলো তিনি দেখেছেন।’

আর সব কিশোর প্রেমের মতো বব ডিলানের এই ভালোবাসাটিও সমাপ্ত হয়েছে। একেবারে শেষের দিকের একটি চিঠিতে, ডিলান তাকে দেওয়া ছবিগুলো ফেরৎ চেয়েছেন এক সময়ের ভালোবাসার মেয়েটির কাছে। তবে সেখানে এও বলেছেন, তাকে ভুলে যাননি তিনি।

মিসেস হিউয়েটের মেয়ে আর অর অকশনকে এও জানিয়েছেন, বব ডিলান তার মাকে ১৯৬০’র দশকের শেষের দিকের কোনো এক সময়ে বলেছেন, যখন তিনি সাফল্যের শুরু করেছেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসতে। তবে তাকে নিরস্ত্র করেছেন প্রেমিকা। এরপর থেকে গানের দিকে চলে গেলেন বব ডিলান।

লাল চুলের একটি স্বর্ণকিশোরী ছিলেন তখনকার মেয়েটি। এই বিষয়ে ডিলান ভক্ত লিভিংস্টোন জানিয়েছেন, ডিলানের কিছু গানে লাল চুলের কী পিঙ্গল চুলের এক নারীর উপমা আছে, যেটি তিনি তার এক সময়ের ভালোবাসার নারী হিউয়েটকে নিয়ে গেয়েছেন। তার বিখ্যাত গান ‘ট্যাঙ্গেলড আপ ইন ব্লু (নীলের জটে উঠে)’তে একটি বাক্যে তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘এখনো যদি তার চুল লাল থাকত।’

তবে বারবারা অ্যান হিউয়েটের জীবনও এগিয়ে গিয়েছে। তিনি তার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের হিবিং শহরেরই একজনকে বিয়ে করেছেন। তবে ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।

তারা মোটে সাত বছর সংসার করতে পেরেছেন। এরপর আর কোনোদিন বিয়ে করেননি বব ডিলানের কিশোর প্রেমিকা, জানিয়েছেন তার মেয়ে।

উল্লেখ্য, বব ডিলানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৪ মার্চ, মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ডুলুথ শহরে। সেন্ট ম্যারি হাসপাতালে। তিনি বেড়ে উঠেছেন হিবিং শহরে। তারা লিথুয়ানিয়ান ইহুদি। আমেরিকায় অভিবাসী, ১৯০২ সালে। ডিলানের শৈশব, কিশোরকাল কেটেছে খনি এলাকার মেসাবি রেঞ্চে। তারা থাকতেন লেক সুপিরিয়রের পাশে। ডিলানের ছয় বছর বয়সে তার বাবা পোলিওতে আক্রান্ত হলেন এবং তার মা চলে এলেন তার জন্ম শহর হিবিংয়ে।

ওএফএস/

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম