শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘আমিই একমাত্র কাজ করে চলেছি’

ডিউক ফকির একজন বিখ্যাত প্রবীণ বাংলাদেশি। তিনি অত্যন্ত বিখ্যাত একজন ব্যান্ডস্টার। তার সাক্ষাৎকার অনুবাদ করেছেন ওমর শাহেদ।

চারজন হাইস্কুলের বালক--ডিউক ফকির, লিভাই স্টাবস, রেনাল্ডো ‘ওবি’ বেনসন এবং লরেন্স পেইটন। তারা একত্রে গান করতে খুব ভালোবাসতেন। তাদের গানের ব্যান্ডদল ‘ফোর টপস’ জন্মভূমি ডেট্রয়েটে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে টানা ১০ বছর সক্রিয় ছিল।

এরপর তাদের ব্যান্ডদল ব্যারি গোডির মোটাউন লেভেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৯৬৩ সালে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর থেকে তাদের হিট গান আসতে শুরু করল স্রোতের মতো। খুব হিট করেছে ‘আই ক্যান্ট হেল্প মাইসেলফ’, ‘রিচ আউট আই উইল বি দেয়ার’, ‘ইটস দ্য সেম ওল্ড সং’। তাদের এমন গানের তালিকা আরও আছে। ফকির ডিউক আবার ফিরে এলেন ডেট্রয়েটে। তিনি ‘ফোর টপস’ গড়লেন নতুন করে।

এখনো গান করে চলেছে সক্রিয় এই ব্যান্ডদল। তাদের শুরুর দলটির একমাত্র গায়ক ও ব্যান্ড লিডার ‘ডিউক ফকির’। তার জন্য একটি অনন্য উত্তরাধিকারও। তার বয়স এই ২০২২ সালে ৮৬ বছর। তিনি এখনো সুস্থ আছেন। তার চারপাশে সত্যিকারের গায়কদের জড়ো করেছেন। তাদের ফোর টপস আসল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে লরেন্স পেইটনের ছেলে লরেন্স পেইটন জুনিয়র আছেন। তিনি গান করেন ও বেস গিটার বাজান। এ সাক্ষাৎকারে তাদের গানের দলটি নিয়ে বলেছেন ডিউক ফকির।

কীভাবে আপনি আপনার এই ব্যান্ডমেটদের জড়ো করেছেন?

ডিউক ফকির: এই কাজটি আমার জন্য খুব সহজ ছিল। কেন না তারা সবাই আমাদের খুব ঘনিষ্ট ছিল। আমাদের সঙ্গে আছে লরেন্সের ছেলে। আছে গানের সহ-লেখক ও রেনাল্ডোর অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু রনি মেকনেয়ার, আমাদের সঙ্গে ১২ বছর ধরে আছেন। তিনি আমাদের ৩০/৪০ বছর ধরে অত্যন্ত কাছের বন্ধু। আমাদের আজকের ব্যান্ডদলের তৃতীয় ব্যক্তিটি হলেন হ্যারল্ড বোনহার্ট। যে লিভাইয়ের মতো বাজাতে পারে। তিনি আজ কিংবদন্তি , তবে আমি তাকে আট বছর ধরে চিনি। আমাদের দলে কয়েক বছর ধরে আছেন। তিনি তৈরি আছেন। আমাদের সংগীতসুধা ভালো হচ্ছে। আমার কখনো সেখানে কোনোকিছু যুক্ত করতে হয়নি। আমরা সবাই খুব ঘনিষ্ট। আমাদের পরিবারে একজন তখন হাঁটেন, যখন সেটি সঠিক সময় হয়।

এখন যে লাইন আপ আছে, সেটি ক্ল্যাসিক লাইনআপের কতটা কাছাকাছি?

আপনি যতটা মনে করেন। এই ব্যান্ডটিই সবচেয়ে সেরা সাউন্ড ব্যান্ড যখন থেকে লিভাই গান করা থামিয়ে দিল। যখন থেকে ফোর টপসে ওবি এবং লরেন্স আর আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলাম। দলের সঙ্গে থাকলে অবশ্যই আপনি সবার এ-গেম লাভ করবেন। আমাদের দলটি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যান্ডদলগুলো যখন স্টেজে থাকে, তখন প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আমাদের সেরা সময়ে থাকতে হয়, নচেৎ ড্রেসিংরুমে আলাপের বিষয় হয়ে যেতে পারি। আমাদের নিয়ে হাসি, ঠাট্টা হতে পারে। গানে আমরা একে, অন্যের সঙ্গে খেলি, সেটি আমাদের নিজেদের পায়ে দাঁড় করিয়ে রাখে।

মোটাউন লস অ্যাঞ্জেলসের চলে গেল ১৯৭২ সালে আলাদা ব্যান্ডদল হয়ে। তবে আপনি এখানে থেকে গেলেন?

আমরা ঘরের ছেলে ছিলাম। আমি একজন ডেট্রয়েট মানুষ। আমি তাকে ভালোবাসি। এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দিত যে, আমি লস অ্যাঞ্জেলসে বেরিয়ে পড়িনি। আমরা যেকোনো সময় সেখানে চলে যাবার একটি সুযোগ লাভ করেছিলাম। আমরা সেখানে সামান্য সময় কাজ করেছি। তবে আমার বাড়ি হলো ডেট্রয়েট। আমি তাকে ভালোবাসি। আমি এখানে আমার অবসর নেওয়া সব বন্ধুদের সঙ্গে গলফ খেলি। আমি তাদের সঙ্গে বেড়ে উঠেছি। তাদের মধ্যে আমিই একমাত্র যে এখনো কাজ করে চলেছি।

ফোর টপসের বিষয়ে অনেক লেখা হয়েছে। মানুষ জানে না এমন কোনো কিছু আমাদের বলুন...।

মানুষজন বুঝতে পারে না যে, যখন তারা একত্রে কাজ করে, একসঙ্গে থাকে ও কিছু কাজ করে সেটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবার একটিই লক্ষ্য ছিল। আমরা ছোটবেলা থেকে সেটি নিয়ে থেকেছি। একমাত্র মৃত্যুই আমাদের আলাদা করতে পারবে-এমনটিই ভেবেছি। ফলে সেই কাজগুলো করা আমাদের জন্য সহজ ছিল। সাফল্যের জন্য একজনের চেয়ে একত্রে থাকা শক্তিশালী। মানুষ আমাদের ব্যান্ডদলের এই বিষয়টি জানে না।

তারা আরও জানে না, আমরা গানের কত ধরন রেকর্ড করেছি এবং গাইতে কতটা আনন্দ লাভ করেছি। আমরা সব ধরনের গানই গেয়েছি শুরু থেকে, কেবল আর অ্যান্ড বি নয়। আমরা গাইতে শুরু করেছি জ্যাজ,পপ, হিট প্যারেডি, কান্ট্রি, ওয়েস্টান, ব্লুজ, সবকিছুই আমরা গেয়েছি। হিপ হপে খুব ভালো করেছি। আমাদের কিছু কর্মী ছিলেন অ্যালবামের জন্য। তারা খুবই আশ্চর্য হতেন যে ফোর টপস এমন। আমি অমাদের নিজেদের রেডিও স্টেশনে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি। আমাদের একশ’র বেশি গান সেখানে আছে, যেগুলো মানুষ শোনেনি।
আপনারা কান্ট্রি মিউজিক করেছেন?

আমরা গেয়েছি। আমাদের কয়েকটি কান্ট্রি মিউজিক জনপ্রিয় হয়েছে। আমরা গান ভালোবাসি। আমরা এক ধরনের গান গেয়ে বড় হইনি। আমরা গান গাইতে গাইতে বড় হয়েছি। এমনকি যখন আমরা রেকডিং করতাম তখনো দেখতাম, কোনোকিছু সেখানে বাদ পড়ে গেল কি? আমরা কিছু কভার করেছি। ‘এলেনর রিগবি’, ‘মিশেল’, ‘ইউ নেম দেয়ার’।

তখন কি আপনারা বিটলসের ভক্ত ছিলেন?

অবশ্যই আমরা বিটলসের ভক্ত ছিলাম। তাদের ম্যানেজার ব্রায়ান অ্যাপস্টাইন আমাদের ফোর টপসকে একটি মার্কিন ট্যুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের প্রোমোশনের জন্য কাজ করেছেন। আগের রাতে তিনি আমাদের প্রমোশনের জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা সেরা শো করতে পারো আজ রাতে, আমি তোমাদের গ্যারান্টি দিতে পারি তোমরা তোমাদের কনসার্ট ট্যুরের জন্য আসতে পারবে। প্রথম পাতায় খবর হবে। বছরের পর বছর তোমাদের মানুষ ভালোবাসবে। আমি তোমাদের এখানে বিটলসের মতো জনপ্রিয় করতে চলেছি।’ তিনি তাই করেছেন। যখন আমরা ফিরে এলাম, প্রথম পাতায় খবর হয়েছি। সব টিকিট বিক্রি হয়েছিল। একটি দারুণ ট্যুর করেছি। তিনি দি রোলিং স্টোন, দি বিটলস, স্মল ফেস এবং আরো কয়েকটি ব্যান্ড দলের সঙ্গে একটি পাটির আয়োজন করেছেন। আমি সেদিনের কথা কখনো ভুলতে পারি না। সবাই গান নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। এটি ছিল মহৎ কাজ। খুবই উত্তেজনাময়।

দিনের পর দিন এত হিট গান কীভাবে করেছেন?

আমি জন্ম থেকে একজন শিল্পী। আমার এই মানসিকতাটি আছে। আমরা যে গানগুলো করি, সেগুলো দর্শকরা যতদিন ভালোবাসেন, আমরা ততদিন কাজ করতে থাকি। এটি দেখতে পারা একটি আনন্দের বিষয় যে, আমাদের গান শুনে লোকে লাফ দিয়ে উঠছে, তারা উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। আমার জন্য এটি একটি থ্রিল। তারা আমাদের কাজের একটি অংশ হতে চায় এবং এ একটি বিষ্ময়কর বিষয়। এমন আর কোনো ভালোবাসা আপনি পেতে পারেন?

উল্লেখ্য. ডিউক ফকির নামের বিখ্যাত এই মানুষটির ভালো নাম আবদুল করিম ফকির। তিনি জন্মেছেন ১৯৩৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর। তিনি একজন আমেরিকান গায়ক। তিনি মোটাউন কোয়াটেট নামের ব্যান্ড দলের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কোয়াটেট মানে হলো চতুষ্টয়। পরে তাদের ব্যান্ড দলের নাম বদলে হয় ফোর টপস। ১৯৫৩ সাল থেকে এই নামে আজ পযন্ত গাইছেন তারা। তাদের ব্যান্ডদলের তিনি একমাত্র কাজ করে যাওয়া সদস্য। তার দলে আছেন এখন রনি মেকনেয়ার, লরেন্স রোক্যাল পেইটেন জুনিয়র তিনি দলের আসল সদস্য লরেন্স পেইটেনের ছেলে এবং আলেকজান্ডার মরিস। ডিইক ফকিরের জন্ম আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে। তার বাবা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী ছিলেন।

ওএফএস/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম