ইংল্যান্ডকে ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া যখন মাঠে নামে, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন সংগ্রাম। তবে, চোট-ঝুঁকির মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শক্তি যেন এক নতুন রূপে দেখা দিলো। শুরুতে ইংল্যান্ডের বল হাতে জোফরা আর্চার এবং মার্ক উডের আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি কিছুটা দুর্বল হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা শক্ত অবস্থানে ফিরে আসে।
জশ ইংলিস এই ম্যাচে ঝড় তোলেন এবং ইতিহাস গড়েন। তার ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, যদিও ইংল্যান্ডের সামনে ছিল এক বিশাল সংগ্রাম।
প্রথমে ট্র্যাভিস হেড (৬) এবং স্টিভ স্মিথ (৫) দ্রুত আউট হয়ে গেলেও, ম্যাথু শর্ট এবং মার্নাস লাবুশেন এর জুটি অস্ট্রেলিয়াকে সামলে রাখে। দুজন মিলে ৯৫ রান যোগ করে, যেখানে লাবুশেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করেন এবং শর্ট ৬৬ বলে ৬৩ রান করেন।
১৩৬ রানে চার উইকেট পড়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা চাপে পড়লেও, অ্যালেক্স ক্যারি এবং জশ ইংলিসের দারুণ পার্টনারশিপ তাদেরকে আবার পথ দেখায়। ৩৮তম ওভারে রশিদের বলে ক্যারি আর্চারের হাত ফসকে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে ক্যারি আউট হলে ইংলিস একাই কাঁধে তুলে নেন দলের জয়ের আশা।
৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্চারকে ছক্কা মেরে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইংলিস, এবং পরবর্তীতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও দ্রুত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেন। ৪৭.৩ ওভারে ইংলিস ম্যাচের শেষ ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়িয়ে জয়ী হয়।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ফিল্ডিং শুরু করেছিল এবং ইংল্যান্ডের প্রথম দুই ব্যাটসম্যান—ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথ (১৫)—কে আউট করে তারা দারুণ শুরু করে। তবে বেন ডাকেট এবং জো রুট দলের ভিত শক্ত করে ফেলে, যেখানে ডাকেট ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে শতক পূর্ণ করেন। রুট ৬৮ রান করে আউট হন।
ডাকেটের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর ইংল্যান্ডের রান বেড়ে গিয়ে ৩৫২ রানের কাছাকাছি পৌঁছায়। ১৩৪ বলে ১৫০ রান করে ডাকেট শেষ পর্যন্ত আউট হলেও, তার ইনিংসটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচের সর্বোচ্চ রান।
শেষ দিকে জোফরা আর্চার ১০ বলে ২১ রান করে ইংল্যান্ডের স্কোরে বড় কিছু যোগ করেন, এবং দল ৩৫৪ রানে পৌঁছে যায়। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ডারশুইস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।