কাল অমিতাভ বচ্চনের ৮০
আগামীকাল অমিতাভের ৮০ বছর। ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর জম্মেছেন অমিতাভ। তার আসল নাম অমিতাভ শ্রীবাস্তব। কত পরিচয়-ভারতীয় হিন্দি সিনেমার সর্বকালের সেরা অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক, টিভি উপস্থাপক, কখনো, কখনো প্লে ব্যাক গায়ক এবং সাবেক রাজনীতিবিদ। তিনি বিশ্ব ইতিহাসেরই সেরা অভিনেতাদের অন্যতম। সবচেয়ে সফলদের একজন সবখানে। যখন তুমুল সাফল্য পেয়েছিলেন যৌবনে, বলিউড আদর করে ডাকতো শাহেনশাহ। আর এখন তিনিই বহু বছর ধরে শেষ কথা। রূপালী ফিতের জাদুকর। ও, শাহেনশাহ নামে তার ছবিও আছে ১৯৮৮ সালে। সবসময় নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন কবি হরিবংশ রাই বচ্চন ও সমাজসেবিকা তেজি বচ্চনের ছেলেটি। তাদের সন্তান এখন বিগ বি। তাকেই বলা হয় হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে বড় শাসক।
আহমেদাবাদে জন্ম তার। ব্রিটিশ ভারতে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। শহরটি উত্তর প্রদেশে, বহু পুরোনো একটি রাজ শহর। পড়েছেন শেরউড কলেজে, নীলাচলে। এরপর কিরোরি মাল কলেজ, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অধিভুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারপর এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র হলেন।
এরপর চমকের শুরু। ১৯৬৬ সালে একজন ধারাবর্ণনাকারী হিসেবে মৃণাল সেনের ভুবন সোমে যাত্রা হলো অমিতাভের। তবে লম্বা, বিরাট দেহের, জাদুকরী চেহারার এই ছেলেটিকে সিনেমাজগৎ ডেকে নিলো। ১৯৭০ সালের শুরুর দিকেই তুমুল বিখ্যাত, জিঞ্জির, দিওয়ার ও শোলে ছবির নায়ক হলেন অমিতাভ। রাগী যুবকের যাত্রা হলো সিনেমায়। এরপর ২শটির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
বেশিরভাগই নাম, যশ, খ্যাতি ও সাফল্য এনে দিয়েছে তারকা নায়ককে। চারবার জয় করেছেন ভারত সরকারের চলচ্চিত্র পুরস্কার-দি ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, প্রতিটিই নায়কের। জয় করেছেন ভারতের সবচেয়ে বড় সিনেমা পদক দাদাসাহেব ফালকে। কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে তার আজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে। ১৬ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়াড জয় করেছেন হিন্দি ভাষায়। তিনিই ফিল্ম ফেয়ারের সবচেয়ে বেশিবার পুরস্কার জয় করা অভিনেতা।
তিনি কোন বনেগা ক্রোড়পতি করেছেন। সেটিই টিভিতে জাদু ছড়িয়েছে সিনেমার মতো। করেছেন গেম শো আরেকটি হু ওয়ান্টস টু বি অ্যা মিলিয়ওনিয়ার? ১৯৮০’র দশকে রাজনীতিতেও গিয়েছেন জীবনের সেরা সময়ে।
ভারত সরকার তখনই তাকে দেশের সেরা পদক পদ্মশ্রী ১৯৮৪ প্রদান করেছেন। ২০০১ সালে দিয়েছে তাকে পদ্মভূষণ ও ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ। শিল্পকলায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। কোনো সরকার, কোনো প্রদেশ, কোনো মানুষ, কোনো জাতি অমিতাভের জাদু বঞ্চিত হয়নি ভারতে। হয়তো কোথাও নয়।
ওএফএস।