অভিনেত্রী সুবাহ’র মামলায় ইলিয়াসের বিচার শুরু
যৌতুকের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ'র করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আইনজীবীরা বলেছেন, অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৯ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানম এ অভিযোগ গঠন করেন। একই আদালত গত ২৯ মে এই মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ১৯ জুন ধার্য করেন আদালত।
গত মার্চে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক মাসুমা আফ্রাদ ইলিয়াসকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ মামলায় উচ্চ আদালতের ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন ইলিয়াস। আত্মসমর্পণ করে জামিন শুনানির দিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ২২ মার্চ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত।
চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা করেন সুবাহ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সুবাহর সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিয়ে হয় তাদের। বিয়েতে সুবাহর পরিবার ইলিয়াসের চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার যৌতুক দেয়। এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। এরই মধ্যে সুবাহ জানতে পারেন, ইলিয়াস আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া একাধিক নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, সুবাহর কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবাহর মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে তাকে আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য সুবাহকে চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে ওইদিন রাত ৮টার দিকে সুবাহকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুবাহকে আবারও শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস। তাতে জখম হন সুবাহ। পরে সুবাহকে ব্যথার ওষুধের নামে অন্য ওষুধ খাইয়ে দেন ইলিয়াস। এর কিছুক্ষণ পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান।
এমএ/এসজি/