স্যার এলটন জনের বিদায় ট্যুর শুরু হলো
স্যার এলটন জন তার বিশ্বস্ত ভক্তদের মন থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ও তিনি তাদের দয়াশীলতার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। কেননা, তাদের কারণেই তিনি ট্যুর থেকে অবসর নিতে পারেননি।
পুরো নাম তার স্যার এলটন হারকুলাস জন, সিএইচ এবং সিবিই পদকে ভূষিত। তবে আসল নাম রেজিনাল্ড কেনেথ ডোয়াইট। জন্মেছেন ১৯৪৭ সালের ২৫ মার্চ।
তিনি একজন প্রখ্যাত ইংরেজ গায়ক, পিয়ানো বাদক ও সঙ্গীত পরিচালক। ডাক নাম ‘রকেট ম্যান’। ১৯৭২ সালে তার সুপারহিট গানটির পর থেকে এই নামে খ্যাত।
একজন সলো গায়ক হিসেবে ১৯৭০’র দশক থেকে তিনি দারুণ সফল। ১৯৬৯ সাল থেকে ৩১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এই সাফল্যের প্রধান রহস্য হলো, বার্নি টাওফেনের সঙ্গে তার ১৯৫৭ সাল থেকে জোড়। সঙ্গীতের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জুটির একটি তারা।
বার্নি টাউফেন সিবিই তার জন্য গান লেখেছেন আর তিনি গান। ১৯৭০ দশকে গানের ভুবনে অবদানের জন্য আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এলটন জনকে।
তার সঙ্গীত ও নিজেকে উপস্থাপন জনপ্রিয় সঙ্গীত ধারায় একটি নির্দিষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এই সঙ্গীত কিংবদন্তী এর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আগামী বছর থেকে পথে, পথে ঘুরে বেড়ানো থামিয়ে দেবেন। বয়স তো অনেক হলো-‘৭৫’। এজন্য জন্মভূমির নরিচের কনসার্টটিতে তিনি ১৫ জুন গানের মাঝে থেমে গিয়েছিলেন, যাতে তার প্রিয় ভক্তদের একটি মধুর সম্মান উপহার দিতে পারেন, যারা তাকে বছরের পর বছর সমর্থন ও ভালোবেসে গিয়েছেন।
তিনি তার উন্মাতাল গানের বন্ধুদের দি ক্যারো রোড স্টেডিয়ামে বলেছেন, “আজকে আমার জীবনের ২শ ২৯তম কনসার্ট। এটি ‘ইয়লো ব্রিক রোড ট্যুর’র বিদায় সংবর্ধনা কনসার্টগুলোর একটি। আমাদের আরো ১শ ৩টি শো করতে হবে। এ আসলেই একটি সত্যিকারের ভ্রমণ এবং আগামী বছরের জুলাইতে শেষ হবে।”
‘তবে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কেননা আমি আবার এখানে আর বাজাতে ও গাইতে চাই না। আপনাদের সব স্মরণীয় স্মৃতিগুলোর জন্য আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। আমাকে যে ভালোবাসাগুলো আপনারা দিয়েছেন, সেজন্যও। লেখা চিঠিগুলোর জন্য, আমার মতো পোষাকাদি পরার জন্য। গহনাগুলো, স্টাইল এবং আরো যেসব আপনারা কনসার্টগুলোতে, অ্যালবামগুলো কিনে দেখিয়েছেন-সবকিছুর জন্যই।’
‘এই সবকিছু আমার জন্য একটি বিশ্ব। আপনাদের কাউকেই কোনোদিন ভুলবো না’-বলেছেন ‘রকেট ম্যান’।
এই কনসার্টটিকে ব্রিটেনের বিশ্বসেরা গায়ক স্যার এলটন জনের বিদায় সংবধনা কনসার্টের শুরু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি প্রথম কনসার্টে তার ভক্ত ও সঙ্গীদের বলেছেন, তিনি তার দুই ছেলে ১১ বছরের জাকারি ও ৯ বছরের এলিজাকে বলতে পারবেন, তার অভিজ্ঞতার গল্প এরপর।
এলটন জন ভক্তদের সামনে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের আমার হৃদয়ে নিয়ে রাখব। আমার আত্মার ভেতরে। আমার দুই ছেলেকে যখন বুড়ো হয়ে যাব ও জরাগ্রন্থ হব-আপনাদের সঙ্গে আমার সবকিছুই জানাব একে, একে। আপনাদের ভালোবাসি আমি।’
নিজের জন্মভূমি ব্রিটেনে তিনি আরো আটটি শো করবেন। জন্মস্থান ওয়াটফোর্ডে তার দুটি কনসার্ট হবে।
ছবি : ১৯৭৫ সালের কনসার্টে তরুণ এলটন জন।
ওএস।