৮ বছর আগের ‘আত্মহত্যা’ কাণ্ডে নাম এলো পল্লবীর সঙ্গী সাগ্নিকের
কলকাতা টেলিভিশন সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে কলকাতা মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ জন্য গ্রেপ্তারও হয়েছেন পল্লবী’র লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক। তাকে ম্যারাথন জেরার পর মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তার করে গরফা থানার পুলিশ।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে গড়ফা থানা থেকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া খুনের ঘটনাযয় মূল অভিযুক্ত সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি সাগ্নিকের বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধেও গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর বাবা-মা।
এবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আরেক অভিযোগ উঠেছে, তা হলো-পল্লবীর মতো সাগ্নিকের আরও এক বান্ধবী সৌমি ম-লের রহস্যমৃত্যু ঘটেছিল আট বছর আগে।
সৌমির বাবা অজয় ম-লের দাবি, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ তার মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সৌমির সঙ্গে সাগ্নিকের প্রেম ছিল বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় সংসাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই আট বছর আগে সৌমি মণ্ডল হাওড়ার জগাছার একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
সৌমির বাবা অজয় মণ্ডলের বক্তব্য, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ তার মেয়ে সৌমির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ঘর থেকে। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। অজয়ের দাবি, সৌমির সঙ্গে সাগ্নিকের প্রেম-ভালবাসা ছিল। সৌমি এবং সাগ্নিক দু’জনেই হাওড়ার জগাছার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরপর তারা ভর্তি হন ফোর্ট উইলিয়াম কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ‘আত্মহত্যা’ করেন সৌমি। সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন সাগ্নিক।
অজয়ের অভিযোগ, ‘সাগ্নিক চক্রবর্তীই আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য একশ শতাংশ দায়ী। সাগ্নিকের সঙ্গে সৌমির প্রেম-ভালবাসা ছিল। আমাদের বাড়িতে ওর যাওয়া-আসা ছিল। আমি বারণ করতাম। কারণ সাগ্নিকের চরিত্র ভাল নয়। ও আমার মেয়ের সঙ্গে রাস্তাঘাটে দুর্ব্যবহার করত। পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল। অন্য ছেলেকে দিয়ে বিরক্ত করত। ওকে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। জগাছা থানার পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু জগাছা থানার পুলিশ তা সমর্থন করেনি।’
সৌমির মা ইলা মণ্ডল বলছেন, ‘ঐন্দ্রিলার কথা এখন নানা জায়গায় শুনতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, ওকে গিয়ে মারি। এত মিথ্যা কথা কেন বলছে ও! ও তো আমার মেয়ের সময় থেকে সাগ্নিকের বন্ধু। আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর সাগ্নিককে নিয়ে ঐন্দ্রিলা আমাদের বাড়িতে এসেছিল। সে কী করে এখন ওই কথা বলে? আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য সাগ্নিক তো দায়ী বটেই। আমার মেয়ে ১৬ বছর বয়সে মারা গিয়েছে। ওরা বাইরে গন্ডগোল করেছে, মারপিট করেছে। এমন খবরও আমি পেয়েছি। সাগ্নিক আমার বাড়িতে দু’বেলা আসত। মেয়েকে টিউশনও ঠিক করে দিয়েছিল।’
এএম/এমএমএ/