সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে যা বললেন অমিতাভ বচ্চন
কিংবদন্তী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন তার আগামী ছবি ‘রানওয়ে ৩৪’র পরিচালক ও সহ-অভিনেতা অজয় দেবগনের সঙ্গে আলাপে বসেছেন। বলেছেন কেন ও কীভাবে তিনি একটি চিরসবুজ ক্যারিয়ার গড়েছেন।
কীভাবে সবকিছু ভালোভাবে এখনো সম্পন্ন করেন-প্রশ্ন করেছেন অজয়। আরো জানতে চেয়েছেন, কেমন করে তিনি আবেগপ্রবণ পারফরমেন্স করে চলেন। এর উত্তরে সবার আগে অমিতাভ জানিয়েছেন, তার ‘পারফরমেন্সই হলো তার পেশাদারিত্ব’।
‘আপনি যদি নিজেকে একজন পেশাদার বলে মনে করেন, তাহলে যেকোনো পেশায় আপনাকে মনোযোগের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের ক্ষেত্রে-আপনি যখন কোনো একটি কন্ট্রাক্টে স্বাক্ষর করেন এবং একজন পেশাদার হতে অঙ্গকারাবদ্ধ হয়েছেন; তাহলে যাই লেখা থাকুক চিত্রনাট্যে এবং যাই নির্দেশ দেন আপনার পরিচালক, আপনাকে সেটি করতে হবে মন থেকে। আপনার ভেতরে যতটুকু মেধা আছে সেটি নিয়ে কাজগুলো করে যেতে হবে। পরিচালক আপনার কাছে যান চান নিজে থেকে সেভাবে দিতে চেষ্টা করতে হবে’-বলেছেন অমিতাভ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি সিনেমা তার কাছে যা চায় কেবল সেটুকুই দিতে চেষ্টা করেন।
ম্যাজিক বলে কিছু থাকলে সেটির কৃতিত্ব তিনি টেকনোশিয়ানদের দিয়েছেন। ‘ফলে আপনি যখন আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন কীভাবে আমি তা করি, এর উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। কেননা আমাকে চরিত্রটি বললেন, কীভাবে করতে হবে জানালেন, আপনি এই ছবিটির পরিচালক, একটি নির্দিষ্ট উপায়ে ক্যামেরাগুলোকে বসিয়েছেন। নিদির্ষ্ট শটগুলো নিচ্ছেন। তার ওপর সবকিছুই কাগজে লেখা আছে।’
১৯৭০’র দশকে তিনি কাজ করেছেন ‘তাসের টেক্কা’ লেখক সেলিম-জাভেদের সঙ্গে এবং প্রায়ই তার সাফল্যের কৃতিত্ব দেন তাদের।
এখানে আরো বলেছেন, ‘লেখকরাই একটি সিনেমার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
এই ছবিটি লিখেছেন সন্দীপ কল্যাণী ও আমিল কিয়ন।
অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, লেখকই হলেন এই দলের প্রধান ব্যক্তি।’
খ্যাতিমান অভিনেতা অজয়কে বলেছেন, ‘কাগজে বা চিত্রনাট্যে যাই লেখা থাকুন না কেন সেটিকে অনুসরণ করা উচিত এবং কোনো পরিবর্তন করা উচিত নয়।’
তিনি আরো যোগ করেছেন, ‘আপনার লেখকের সঙ্গে সবগুলো সেশনের পর যাই লেখা হোন না কেন, যাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকুক না কেন, আমি বিশ্বাস করি সেটি কার্যকর করা প্রয়োজন। তৈরি হওয়া চিত্রনাট্যের ওপর কোনো পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।’
ওএস।